শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
JNEWS24TV
JNEWS24TV.COM is one of the popular Bangla news portal. Stay connected with JNEWS24TV
Friday, 6 June 2025
Monday, 2 June 2025
জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০১ ডেগ খিচুড়ি বিতরণ করলেন তৈয়বুর রহমান
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
স্টাফ রিপোর্টার লিজাঃ
জুন মাসের ১ তারিখ রোজ রবিবার বিকেল তিন ঘটিকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব তৈয়বুর রহমানের উদ্যোগে এক ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফতুল্লার লালখা এলাকায় ১০১ ডেগ খিচুড়ি রান্না করে পুরো এলাকাবাসীর মাঝে বিতরণ করেন।
আবহাওয়া খারাপ এবং বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষ উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও, তৈয়বুর রহমানের ব্যবস্থাপনায় সকাল থেকেই ভ্যানে করে ঘরে ঘরে জনসাধারণের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হয় এই খিচুড়ি। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়ায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু , তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে ১৭ বছর আমরা অত্যাচার , জুলুমের শিকার হয়েছি। তিনি আরো জানান ,ছাত্র আন্দোলনের আমরা এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়েছি কিন্তু কে বা কারা বিএনপি নাম ভাঙ্গে বর্তমান সময়ে চাঁদাবাজি, জমি দখল, দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে তার দায় আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে । এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচতে হলে বিএনপির সবাইকে একতা বজায় রাখতে হবে, যাতে আইনের মাধ্যমে এর প্রতিকার করতে পারেন।
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তৈয়বুর রহমান বলেন,“যখন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখনও আমি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ২০২৩ সালে পঞ্চান্ন ডেগ খিচুড়ি বিতরণ করেছি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে। তখন মানুষ বিএনপি'র নাম মুখে নিতে ভয় পেতো। কিন্তু আমি ভয়ার্থ রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সব সময় আমি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন করে আসছি। তবে এবার করেছি ১০১ ডেগ। ইনশাআল্লাহ, যতদিন বেঁচে থাকি—এই মহান নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় নিয়মিত এই আয়োজন চালিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু।আরও উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মাদবর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আমির হোসেন,সহ-সভাপতি আবুল হোসেন,সহ-সভাপতি ছমির আলী,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কুদ্দুস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন,প্রচার সম্পাদক আহমদ আলী,সমবায় বিষয়ক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মাস্টার, যুব বিষয়ক সম্পাদক তারেক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জামাল হোসেন, সদস্য কাশেম, কবির হোসেন, নাজমুল হাসান প্রতীকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Thursday, 22 May 2025
মেলান্দহ সরকারি কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ীর মূল নায়ক জহুরুল ইসলাম
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় সরকারি চাউল কালোবাজারি ব্যবসা করে আসছেন একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে। যার মূল নায়ক হলেন সাবেক এমপি আওয়ামী লীগের ধূসর আলহাজ্ব মির্জা আজম এর কাছের লোক জহুরুল ইসলাম। এমন একটি অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ হল, এমন কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ী যাতে ব্যবসা না করতে পারে এর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানা যায়,জহুরুল ইসলাম সাবেক এমপি আলহাজ্ব মির্জা আজমের কাছের লোক হয়ার মেলান্দহ উপজেলার খাদ্য বান্ধবের ডিলারদের কাছ থেকে সরকারি চাউল ক্রয় করে থাকেন। এবং কি মেলান্দহ উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি, চাউল ক্রয় করে থাকেন। এতে করে হতদরিদ্র মানুষগুলো পাচ্ছে না তাদের সঠিক মূল্য।
নাম প্রকাশ না করার সত্যে কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এমন কিছু অ-সাধু-কালোবারি চাউল ব্যবসায়ীদের জন্য পাচ্ছিনা আমাদের কোন ন্যায্য মূল্য। আমরা ডিলারদের কাছে চাউল নিতে গেলে তারা বলেন চাউল শেষ হয়ে গেছে।পড়ে বিশিষ্ট কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের কাছে চাউল গুলো বিক্রি করে দেয় । সেই চাউল একটি গোডাউনে মজুদ করে পড়ে বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন কালোবাজারি মূল নায়ক জহুরুল ইসলাম।
আরো জানান, কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম যদি চাউল গুলো ক্রয় না করতো তাহলে আমাদের ন্যায্য মূল্য আমরা পাইতাম। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অসহায় হতদরিদ্র ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাউল কালোবাজারে বিক্রি করা হয় এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি সততা যাচাই করে আমি অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনসার্জ ( ওসি ) বলেন, আমি মেলান্দহ থানায় আসার পর এমন একটা অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি সততা যাচাই করে দেখব। যদি কোন সততা খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে আমি অবশ্যই জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
Monday, 19 May 2025
যুব সাংবাদিকদের নিয়ে ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী SRHR বিষয়ক প্রশিক্ষণ
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
স্টাফ রিপোর্টারঃ সাকিব আহমেদ
যুব সাংবাদিকদের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরির দুই দিনব্যাপী ময়মনসিংহে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই দিনব্যাপী ওই প্রশিক্ষণটি শনিবার(১৭ মে)শুরু হয়ে সমাপনী রোববার (১৮ মে) ময়মনসিংহের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। ব্র্যাকের আয়োজনে ওই প্রশিক্ষণে অংশ নেয় যুব সাংবাদিকরা।প্রশিক্ষণটি ব্র্যাকের ‘অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্প’-এর আওতায় আয়োজিত হয়।
প্রশিক্ষণে কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লেখার কৌশল সম্পর্কে বিশদ ধারণা দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণের প্রথম দিন প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহানাজ শারমিন এবং দ্বিতীয় দিন প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সহকারী প্রশিক্ষক মিনহাজ উদ্দিন নিপুন। কোর্স সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর মোঃ জিল্লুর রহমান, ময়মনসিংহের DYM নুসরাত জাহান ও জামালপুরের DYM কাকলি আক্তার।
প্রশিক্ষণে ময়মনসিংহ ও জামালপুরে কর্মরত সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।যেখানে নিজেদের অভিজ্ঞতা অর্জন ও সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কর্মশালা হয়।
কর্মশালায় জামালপুর থেকে অংশগ্রহণকারী হলেন দৈনিক আমার সংবাদ জামালপুর প্রতিনিধি বিপুল মিয়া, দৈনিক জামালপুর বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুল হাসান (রিয়াদ),দৈনিক বাংলাবাজার ও জে নিউজ ২৪টিভির স্টাফ রিপোর্টার সাকিব আহমেদ, দৈনিক তৃতীয় মাত্রার জামালপুর প্রতিনিধি তৌকির আহাম্মেদ হাসু, দৈনিক আনন্দবাজার জামালপুর প্রতিনিধি শাকিল হাসান, মুভি বাংলা টিভির জামালপুর প্রতিনিধি আল-আমিন, আজকের আরবান স্টাফ রিপোর্টার খোরশেদ আলম, সাপ্তাহিক বার্তা বাজার স্টাফ রিপোর্টার আল বিল্লাল খান, লাখো কন্ঠ সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি স্বপন মাহমুদ, ঢাকা ক্যানভাস জামালপুর প্রতিনিধি ফারিয়াজ ফাহিম।
দুই দিনের এই প্রশিক্ষণ সম্পর্কে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর মো. জিল্লুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার (SRHR) সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা জরুরি। এর জন্য মূল শব্দাবলি, আইনি কাঠামো ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা জানা প্রয়োজন। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, গর্ভপাত ও কিশোর বয়সের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে রিপোর্ট করতে হলে নৈতিকতা, গোপনীয়তা ও সম্মান বজায় রাখা আবশ্যক। এই প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা এ সকল বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবে।
Thursday, 15 May 2025
স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগের ধূসর দেওয়ানগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানের
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও এখনো পরিবর্তন হয়নি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের ধূসর ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের।
জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের ব্যাপক অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও নানা প্রকল্পে চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি নানা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু একাধিক তদন্ত দীর্ঘ দিনেও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে ভুক্তভোগীরা হতাশ।
আরো জানা যায়,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব খোযাড়-খেয়া ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, হাটবাজার, ১% খাতের নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন। অপরদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডপ্রতি সরকারি খরচ ১৫ টাকা থাকা সত্ত্বে দুবারে কয়েক হাজার হাজার কার্ডে এন্ট্রি বাবদ কয়েক শত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ অর্থ লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তিনি তার নিজ বাড়িতে বসে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং ভুয়া রেজুলেশন করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নবাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এমনকি একাধিকবার লাঞ্ছিত, অবরুদ্ধ ঘটনাও বাদ পড়েনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সরকারি অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন গ্রামে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ঘুস গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ একটি বাহিনী তৈরি করে ভিজিডি তালিকায় নাম উঠানোর কথা বলে অসহায় দুস্থদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুস গ্রহণ করছেন। বাদ পরেনি বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতাও।
এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Wednesday, 14 May 2025
স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগের ধূসর শ্যামল বাবুর
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে ফ্যাসিস্ট সরকারের মদত পুস্ট দুর্গা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুবিধাভোগী ঠিকাদার সুযোগ সন্ধানী শ্যামল বাবু সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে রাতারাতি খোলস বদল করে হঠাৎ সাধু সেজে বিএনপি'র ছত্রছায়ায় থেকে আবারও ফায়দা লোটার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
শ্যামল চন্দ্র সাহা জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জসহ এ জেলায় দুর্গায় এন্টারপ্রাইজ নামে বেনামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে। তার মধ্যে ঠিকাদারি ব্যবসা অন্যতম । পতিত সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী দোষর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদের একনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। এমপির মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে তিনি অনেক ব্যবসায়ী সুবিধা ভোগ করার নজির হয়েছে তার। সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ সঙ্গে ছিল দহরম মহরম সম্পর্ক। মাসোরা টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকতেন। শ্যামল বাবু মন্ত্রী বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের নদীর মাছ বিভিন্ন ধরনের সিজনাল ফল কাজের ছেলে মেয়েদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকতেন। শ্যামল বাবু মন্ত্রী সাথে কথা বলতেন সব নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে দীর্ঘসময় মিটিংয়ে বসতেন । শ্যামল বাবু প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন যিনি মন্ত্রীর সাথে কথা বলতে গেলে সেখানে কোন নেতা কর্মী প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল । এই শ্যামল বাবু মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে ছিল আসমানের চাঁদ দিল্লিকা লাড্ডু। এই সুবাদে মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে এক চাটিয়া তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা সহ বিভিন্ন ডিলারশিপ একাই বানিয়ে নিয়েছেন। তাই তিনি বিগত সরকারের আমলে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন যেন কেউ দেখার নেই। ঠিকাদারী কাজে চরম দুর্নীতি অব্যাহত রাখলেও প্রতিবাদ করার মত সাহস ছিল না কারো।
গত ৫ ই আগস্ট এর পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর শ্যামল বাবুর রাতারাতি পালা বদল ঘটে।বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী সহ বিএনপি'র অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ছাত্রদল যুবদল নেতাকর্মীদের নিয়ে তার বাগানবাড়িতে খাওয়া-দাওয়া অর্থ লেনদেনসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে মুগ্ধ করে নিজের করে রেখেছেন। বর্তমানে তিনি বিএন পি নেতাকর্মীসহ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত সাহেবের কাছে যাইতে বিভিন্ন তদবির শুরু করেছেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের পেটুয়া বাহিনী সুবিধাভোগী শ্যামল বাবুর ফেসির সরকারের ধূসর হিসাবে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ এলাকার ভুক্তভোগী নেতাকর্মীদের নজরদারি দাবী জানাচ্ছি।
Monday, 12 May 2025
বীজ আলুর দাম বৃদ্ধির দাবিতে চাষিদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আলু চাষিরা আলুর বীজের মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার জামালপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ চাষি ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন মিলন, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান রুমেল, জেলা কৃষক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, আলু বীজ চাষি আবুল কালাম।
মানববন্ধনে বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ চাষি ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) থেকে ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা দরে বীজ ক্রয় করেছিলাম। বীজ থেকে উৎপাদিত আলুর দর পেয়েছি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা কেজি। অথচ বাইরে বাজারে এই আলু বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। কিন্তু আমরা বিএডিসির সাথে চুক্তিবদ্ধ বলে বাইরে কোনো আলু বিক্রি করিনি। যার ফলশ্রুতিতে বিএডিসি ব্যাপক লাভবান হয়েছে।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিএডিসি ভিত্তি বীজের দাম নিয়েছে ৬০/৬২ টাকা দরে। এত উচ্চমূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক, ব্যবহার করে বীজের উৎপাদন খরচ বেড়ে অঞ্চলভেদে দাঁড়িয়েছে ৩০/৩৫ টাকায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু কিছু জোন থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে উৎপাদন খরচ দেখিয়েছে, তা চাষিদের উৎপাদিত খরচের সাথে কোনো সামঞ্জস্য নেই। এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ উৎপাদন খরচ এবং খাবার আলুর নিম্নমুখী দর দেখে চলতি অর্থবছরে মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ২৬/২৮ টাকা। বিগত বছর ৪৮/৫৪ টাকা দরে ভিত্তি বীজ কিনে দর পেয়েছি প্রতি কেজি ৩৫/৩৭ টাকা। আর এ বছর ৬০/৬২ টাকা দরে ভিত্তি বীজ কিনে দর পেলাম ২৬/২৮ টাকা। এতে চুক্তিবদ্ধ চাষিগণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বিএডিসি আলু বীজের চুক্তিবদ্ধ চাষিদের উৎপাদন খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলু বীজের মূল্য গত অর্থবছরের চাইতেও এবার প্রতি কেজিতে আরো দুই টাকা বাড়িয়ে অথ্যাৎ ৩৭/৩৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান। দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুমকি দিয়েছে বীজ আলু চাষিরা।
Sunday, 11 May 2025
দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপন ব্যালটে ৪৯৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে কমিটির সভাপতি পদে একজন, সাধারন সম্পাদক একজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছে এডভোকেট মনজুরুল কবির বাবুল খান সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান রতন।
শনিবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপজেলা সদরের বালিজুড়ি ফাজিল মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে থাকেন। সকাল ১২ টায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট মনজুরুল কাদের বাবুল খানের সভাপতিত্বে সম্মেলটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এবং এ-সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। প্রমূখ
শুরুতেই ৭টি ইউনিয়নের সাংগঠনিক পতাকা উত্তেলনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর অতিথিদের বক্তব্যের পর গোপন ব্যলটে ভোট গ্রহণ চলতে থাকে।
দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। এর আগে কয়েক দিন ধরে দলীয় পদপ্রত্যাশীরা শহর ও গ্রামে মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণা চালান।
জানা গেছে, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন বিকেলে শুরু হয়। এ সময় ৪৯৫ জন ডেলিগেট (ভোটার বা কাউন্সিলর) ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মাদারগঞ্জ উপজেলা শাখা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাডভোকেট খয়রুল ইসলাম। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাদেকুর ইসলাম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতার ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হবে। আগামী দিনে সদর উপজেলার প্রত্যেকটি মানুষের কাছে সেই ম্যাসেজ পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করবে মাদারগঞ্জ উপজেলার নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি অসাধারণ সম্পাদক।
Sunday, 4 May 2025
জামালপুরে ৪ দেহ ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুর জিগাতলা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ এ মে) দুপুরে পুলিশের অভিযানে জামালপুর সদরের জিগাতলা এলাকার হাজী ফজলুল হকের দ্বিতীয় তলা একটি ফ্লাট থেকে মাদক সেবন করা অবস্থায় ৪ মহিলাকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর সদরের ১ নং ফাঁড়ির পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, শেরপুর সদর ঘুঘুরাকান্দির চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আনসার সদস্য মোতালেব হোসেন বাচ্চুর স্ত্রী পাখি আক্তার (৩০), জাওরাম এলাকার স্বর্ণা (২১), হাজিপুর এলাকার মডেলিং বৃষ্টি আক্তার (২২) ও বৃষ্টি আক্তারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী মাহি (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ও আনুমানিক ২ গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেটের পাউটারসহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জিগাতলা এলাকায় হাজী ফজলুল হকের বাসায় আনসার সদস্য মোতালেব হোসেন বাচ্চু ও তার স্ত্রী পাখি আক্তার তিন রুমের একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন এবং কি বিভিন্ন ধরনের মহিলা সংগ্রহ করে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা এবং কি মাদক সেবন করে থাকেন। জিগাতলা এলাকার লোকজনের মাদকের বিস্তার বৃদ্ধির অভিযোগ ছিল। পরে সাংবাদিকদের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবারে দুপুরে জামালপুর সদরের ১ নং ফাঁড়ির এস আই রাসেল মিয়ার সহযোগিতায় হাজী ফজলুল হকের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্লাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা ও আনুমানিক ২ গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেটের পাউটারসহ ৪ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে জামালপুর ১ নং ফাঁড়ি (এসআই) রাসেল মিয়া বাদি হয়ে জামালপুর সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন।
জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল মোহাম্মদ আতিক বলেন, ১ নং ফাঁড়ি পুলিশের এস আই রাসেল মিয়ার সহায়তায় মাদকদ্রব্যসহ ৪ মহিলা মাদক ও দেহ ব্যবসায়ি কে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে থানায় মামলা হয়েছে। রবিবারে তাদের আদালতে পাঠানো হবে। এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Friday, 2 May 2025
মেলান্দহের ঘোষের পাড়ার পূর্ব ছবিলাপুর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার অবরুদ্ধ।। রাস্তার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষের পাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ছবিলাপুর গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের হাজারও লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ফলে অবরুদ্ধ এলাকাবাসি রাস্তা নির্মাণের দাবিতে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে রাখে। ২মে/২৫ (শুক্রবার) দুপুরে পূর্ব ছবিলাপুর এলাকায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে করে রাখেন। ঐ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মজনু মিয়া, তারা মিয়া, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন মিলন বাজার রোড থেকে পশ্চিম দিকে মফিজ ব্যাপারীর বাড়ির নদীর পাড় পর্যন্ত দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই মাদারগঞ্জের যাতায়াতের জন্য রাস্তা ছিল। যে রাস্তায় গরু গাড়ি মহিষের গাড়ির সহ জামালপুর শহর থেকে শত শত গাড়ি যাতায়াত করত চলাচল করতো হাজারো জনতা। গত ১০-১৫ বছর পূর্বে এলাকার নুরুল ইসলাম নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
এতে করে এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের হাজারও লোকজন বর্তমানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাই অবরুদ্ধ পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু চলাচলে রাস্তা খুলে দিতে আশ্বস্ত করা হলেও তা এখনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা অবরুদ্ধ রয়েছি।ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি এলাকা কতিপয় প্রভাবশালীরা চলাচলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের প্রায় এক কিলোমিটার পথ ঘুরে আসা যাওয়া করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শুক্রবার সরেজমিন উপস্থিত হয়ে জানাযায়, দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকে মফিজ বেপারীর বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা ছিল। সে রাস্তা দিয়ে জেলা ও উপজেলা শহর থেকে শুরু করে লোকজন এ রাস্তা দিয়ে গরু গাড়ি মহিষের গাড়ি বাইসাইকেলযোগে পথচারীরা মাদারগঞ্জে উপজেলায় যাতায়াত করত। বিগত ১০/১৫ বছর আগে, প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম তিনি র্দীঘ দিনের যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
এতে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের হাজারও নারী-পুরুষ ও বৃদ্ধ মানুষ সহ শিশুরা স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মসজিদ গোরস্থান এমনকি মিলন বাজারে যাতায়াত করতে প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আকন্দ, খাদেম আলী ও মিলনবাজারে দোকানদার কালু আকন্দ জানান রাস্তাটি স্বাধীনতার আগে থেকেই মাদারগঞ্জের একমাত্র রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। এ রাস্তা দিয়ে গরু গাড়ি মহিষের গাড়ি যাতায়াত সহ অত্র এলাকাবাসী চলাফেরা করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। ফলে এই বিশাল এলাকা বাসি রাস্তার অভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং কি দাবি জানিয়েছেন জরুরী ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের চলাচলে রাস্তাটি পুনরায় নির্মাণ করে যাতায়াতের উপযোগী করে দেয়া জন্য।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া বলেন, জমির মালিক যেই হোক না কেন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াটা চরম অন্যায়। রাস্তা বন্ধকারীদের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য বলা হলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. আলমগীর বলেন এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
Friday, 25 April 2025
সরিষাবাড়ীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা, দেশীয় অস্ত্র ও নগদ অর্থসহ সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের শশাবর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়া ওই ইউনিয়নের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে। প্রথমে তার দেহ তল্লাশিতে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির আঙিনায় খড়ের গাদার ভেতর থেকে আরও ১৮ কেজি গাঁজা, নগদ ৪ হাজার ১১০ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, গাঁজা পরিমাপের যন্ত্র ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” তিনি মাদকের তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সরিষাবাড়ী অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট শাহরিয়ার তালুকদার রিফাত। তিনি বলেন, “সেনা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে জনসাধারণের সক্রিয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Friday, 18 April 2025
জামালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা এখনো চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাদারগঞ্জ উপজেলার ২নং কড়ইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চুর। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে এখনও রয়েছেন বহাল এ ঘটনায় সাধারণ জনগণের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে।
৫ই আগস্টের পর দেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের পরিবর্তন হলেও এখনো পরিবর্তন হয়নি ২ নং কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক এমপি মির্জা আজমের প্রভাব ও ভোট বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে দুই,দুই বার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন মোজাম্মেল হক বাচ্চু। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে আত্মসাৎ করেছেন কোটি কোটি টাকা। কাজ না করেও তিনি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় নিযুক্ত ছিলেন।
এছাড়া, জানা যায়,আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত দিনে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চু বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার জন্য কুখ্যাত হয়েছেন। স্থানীয় বিরোধী দলের নেতাদের পরিষদে ডেকে এনে করতেন মারধর ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের আওয়ামী লীগে যোগ দিতে বাধ্য করতেন।
সচেতন মহল জানান,ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হওয়ার পরও মোজাম্মেল হক বাচ্চু কীভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন, এটাই সাধারণ জনগণের প্রশ্ন এবং চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চুর নামে এখনো হয়নি কোন রাজনৈতিক মামলা।
চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ৬ বছর আগে আওয়ামী লীগ করতাম বর্তমানে আমার কোন পদ নাই। বিএনপি নেতাদের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক থাকায় আমার নামে কোন মামলা হয়নি।
Friday, 11 April 2025
পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব
শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
স্টাফ রিপোর্টার লিজা:
শ্রুতি রয়েছে যে, বৈসাবির শিকড় মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। থাইল্যান্ড, মায়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়া এইসব দেশগুলোতে একই সময়ে নববর্ষ উদ্যাপিত হয়- যা ‘সংক্রান’ নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, শত শত বছর আগে আরাকান ও বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) থেকে মারমা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে আসার সময় তাদের সাংগ্রাই উৎসব সঙ্গে নিয়ে আসে। একইভাবে চাকমা ও ত্রিপুরাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও উৎসবও ধীরে ধীরে একসঙ্গে মিলিত হয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ হয়েছে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা বৃহত্তর মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। বৈশাখ মাসে তিব্বত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত নতুন বছর শুরু হয়। পার্বত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর সকলেই নিজেদের নববর্ষ পালন করে থাকে এই সময়টিতে। বৈসাবি নামটি তিনটি জনগোষ্ঠীর উৎসবের আদ্যক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে। চাকমাদের ‘বিঝু’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ ও ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’- এই তিন উৎসব মিলেই ‘বৈসাবি’। তবে শুধু বৈসাবি পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তির অনুষ্ঠানের বহুমাত্রিকতাকে প্রকাশ করে না। এখানে স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন - ‘বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং নামগুলো। ‘বৈসাবি’ উৎসব নামকরণের পাশাপাশি চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব উদযাপনে অন্যান্য উৎসবগুলোর নাম থাকলে বৈষম্য অনেকটা ঘুচে যেতো বলে মনে করা হয়। যদিও প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে উদযাপনের ধরন কিছুটা আলাদা, তবু উৎসবের মূল চেতনায় থাকে আনন্দ, ভালোবাসা ও নতুন বছরের শুভ সূচনা। চাকমারা তিন দিনব্যাপী বিঝু পালন করে। পার্বত্য জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে এই উৎসবের মাধ্যমে।
নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় করতে চৈত্র সংক্রান্তির এই দিনে প্রতিবছরের ন্যায় পাহাড়ে চলছে জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দের রব। নানা আয়োজনে জমে উঠেছে উৎসবমুখর আনন্দের এই পরিবেশ। ‘বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং বাহারি ফুল আর পাতার সমাহারে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মিলনমেলায় পরিণত হবে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জনপদ এবং রাজধানীতে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি অধিবাসী। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজধানীতে বসবাসরত পাহাড়ি তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ, জায়া-জননীরা মিলেমিশে প্রাণের এই উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছে। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডের পার্বত্য কমপ্লেক্স হতে রমনা পার্কের লেকে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিরা এবারও মেতে ওঠবে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের দিন বদলের সাক্ষী সেইসকল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধারাও এবার মাতিয়ে তুলবে এ উৎসবকে। বৈসাবির মন-মাতানো এমন রং প্রতিবছরের চৈত্র সংক্রান্তিতে সব বয়সের পাহাড়ি মানুষের মনে দামামা হয়ে বেজে ওঠে। আগামী ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে পাহাড়িদের প্রধান এই সামাজিক উৎসব। এই উৎসব ঘিরে সব সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটতে যাচ্ছে। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে বৈসাবি উৎসবের রং লেগেছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পাহাড়। বসেছে আনন্দ উল্লাস আর নাচ-গানের আসর। পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমনের উৎসব বৈসাবিকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলার মধ্য দিয়ে জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে বৈসাবি উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১২ এপ্রিল রাজধানীতে বৈসাবি শোভাযাত্রা উদ্বোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।
১০ ভাষাভাষীর ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীরা বৈসাবি উৎসবে যোগ দিবে। এ মেলায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যা তরুণ-তরুণীদের রং বে-রঙের সাজ আনন্দ বাড়িয়ে দিবে কয়েকগুণ। বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসবকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে। চাকমারা বিঝু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিসু হিসেবে পালন করে বৈসাবি উৎসবকে। বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালন করা হয়।
বিঝু চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। ১২ এপ্রিল পালন করা হয় ফুলবিঝু। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগৃহীত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিঝু। এদিন সকালে বুদ্ধমূর্তি স্নান করিয়ে পূজা করা হয়। ছেলেমেয়েরা তাদের বৃদ্ধ ঠাকুরদা-ঠাকুরমা এবং দাদু-দিদাকে স্নান করায় এবং আশীর্বাদ নেয়। এদিন ঘরে ঘরে পোলাও, পায়েস, পাচন (বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের তরকারি)সহ অনেক সুস্বাদু খাবার রান্না করা হয়। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পালন করা হয় গোজ্যেপোজ্যে দিন (অবসর বা রেস্ট নেওয়ার সময়)। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ফুলি বিঝু সকলের মনকে আনন্দে রাঙ্গিয়ে দিবে এবারের এ আসর। বড় কোনো গাছ থাকলে তার নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে সম্মান জানিয়ে থাকে। গৃহপালিত পশুদের বিশ্রাম ও বিঝু উৎসব চলাকালে কোনো জীবিত প্রাণী হত্যা করা নিষেধ রয়েছে চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যে।
ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব চৈত্র মাসের শেষ দুইদিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিনদিন ব্যাপী পালিত হয় বৈসু। ত্রিপুরাদের এ উৎসবের প্রথম দিনকে বলা হয় হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিনকে বৈসুমা এবং তৃতীয় বা শেষ দিনটিকে বলা হয় বিসি কতাল। মূলত আগামি দিনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করা হয়ে থাকে এ দিনে। তিনদিনব্যাপী এই বৈসু উৎসবের প্রথম দিন হারি বৈসু। হারি বৈসুতে ভোরবেলায় ফুলগাছ থেকে ফুল তোলার হিড়িক পড়ে যায়। সেই ফুল দিয়ে বাড়িঘর সাজানো ও সেই ফুল দিয়ে মন্তির ও পবিত্র স্থানগুলোতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বৈসাবি উ