Monday, 13 March 2023

আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় মাটি কাটার মহাউৎসব নিরব উপজেলা প্রশাসন


আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় মাটি কাটার মহাউৎসব নিরব উপজেলা  প্রশাসন

সুজন মিয়া স্টাফ রিপোর্টার,,,

আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় সবজির আবাদে ছিলো ভরপুর এখানকার সবজি উৎপাদনে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সবজি বিক্রি করতো আশপাশ সহ ঢাকায়, সেই দিন এখন  কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে। সেই সকল  কৃষি জমি নষ্ট করে কাটা হচ্ছে মাটি,। এক জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে গর্ত করায় পাশের জমি ধসে  নষ্ট হচ্ছে আরেক জমির  ফসল সহ জমি ।

আবার ফসলি জমির পাশ দিয়ে চলে গেছে মাটি বাহী ট্রাক যাতায়াতের রাস্তা।  ধুলো বালিতে ডেকে যায় ফসলি জমিসহ ফসল, লাভবান হতে না পেরে  বাধ্য হয়েই  কৃষি আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন  সাধারণ কৃষক।

 তবে  সরকারি ভাবে কৃষি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে কৃষি আবাদ নষ্ট করা নিষেধ থাকলেও মানা হচ্ছে না এ আইন। 

একারণে ইতিপূর্বে অভিযান পরিচালনা করেছেন আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার ভূমি আনোয়ার হোসেন।

 তখন মাটি কাটার সাথে জরিত থাকা আটজন মাটি শ্রমিক কে দেওয়া হয় এক মাস করে জেল।  তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়  মুলহোতারা। 

বর্তমানে আশুলিয়ার শিমুলিয়া গাজীবাড়ি খাল, ফারুক রিষিপাড়ায় লাল মিয়া  ও শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড কালকেপুরে আবুল হোসেন, শামসুল হক,  গাজীবাড়ীর দক্ষিণে জসিম মাস্টার সহ একাধিক ব্যক্তি খাস জমির মাটি সহ  কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রয়ে  মহাউৎসব পার করছেন । 

সাধারণ কৃষক সহ এলাকাবাসী  বলছেন ইতিপূর্বে  আটজন মাটি শ্রমিক কে জেল দেওয়ার পর এখন রাত দিনে সমান ভাবে কাটা হচ্ছে মাটি, ধুলোবালিতে অন্ধকারাচ্ছন্ন  হয়ে পরেছে পুরো এলাকা।

আর ধুলোবালি পরছে খাবারে ডুকে যাচ্ছে  নাক মুখে  হচ্ছে  হাঁচি-কাশি সহ নানা রোগ।, ধুলোবালিতে ডেকে গেছে আমের মুকুল সহ ফলজ গাছ। জেল খাটার পর  এখন নাকি মাটি কাটার বৈধতা পেয়েছেন তারা এমনটাই বলছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

তারা আরও  বলেন মাটি ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে  স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসন,  কারণ এবিষয়ে আর কোন  পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি তাদের  ।  

এবিষয়ে মোঃ আলিম হোসেন ২নং ওয়ার্ড সদস্য শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ  কে মুঠোফোনে  জানতে চাইলে তিনি অযুহাত দেখিয়ে  রেখে দেন ফোন।

এবিষয়ে  আজাহারুল ইসলাম সুরুজ চেয়ারম্যান   শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কে জানতে চাইলে উক্ত বিষয়ে বক্তব্য দিতে নারাজ তিনি। আবার অভিযানের পর মাটি কাটা শুরু হলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন ব্যবস্থা আর গ্রহণ করেননি উপজেলা  প্রশাসন।

এবিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন না, সহকারী কমিশনার ভূমি আনোয়ার হোসেনও, তিনি বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য নিন। বিপাকে পরছে সাধারণ কৃষক। এভাবেই  হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি জমির আবাদ। এসকল কারণেই প্রতিনিয়ত বাড়ছে সবজির দাম, একদিন এভাবেই হয়তো হারিয়ে যাবে বাংলার কৃষক।