শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স গোলাম মোর্শেদ কর্মস্থলে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের পর অবশেষে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির দেয়া তথ্যের জানা যায় তিনি (সিএল) ছুটি কাটিয়েছেন সে দিনের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর মিলছে সেই সাথে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট পর্যবেক্ষণ করে গরমিল পাওয়া গেছে। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামালায় জেল খেটেছেন বলে জানা গেছে।
ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন না করে, মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতা তোলে নিচ্ছেন ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স গোলাম মোর্শেদ।
বিষয়টি তদন্ত করতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর গত ২০ নভেম্বর/২৪ নার্সের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পরিচালক (অর্থ বাজেট) (অঃদঃ) ও তদন্ত কর্মকর্তা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের জেরিনা আক্তারের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে অধিদপ্তরে তদন্ত কমিটির নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দুই জনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর তদন্তের দিন নির্ধারণ করেন তদন্ত করা হয়। ওই তদন্তে জানা যায়,সে ঢাকায় অবস্থান করে ঘুষ, দুর্নীতি করা সহ সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ, চাঁদাবাজি, ভিজিটিং কার্ডে নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি না হয়েও সভাপতি লেখাসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এছাড়া ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের ১৯ মাস যাবত অনুউপস্থিত থেকে মাসে একবার এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে নার্স গোলাম মোর্শেদ।
হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অভিযুক্ত নার্স গোলাম মোর্শেদকে বাঁচাতে রেজিস্টার ও ডিউটি রেজিস্টার পরিবর্তনে সহযোগিতা করেছেন হাসপাতালের দুইজন নার্সিং সুপারভাইজার। তারা নতুন খাতা তৈরি করে হাসপাতালের এইচআইভি কর্নারে নার্স গোলাম মোর্শেদ ডিউটি করছেন বলে দেখিয়েছেন।
এ বিষয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক দুই জন তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আমরা সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। কিছু তথ্য প্রমাণও পেয়েছি ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। দুর্নীতি কিংবা অন্যায় করলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে তাকে।
এ ছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিতির জন্য কর্তব্যে অবহেলা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ২(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.এএএম আবু তাহের বলেন, ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছে। তদন্তের শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।