Saturday, 22 February 2025

মাদারগঞ্জ ঝারকাটা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন

শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM

মাদারগঞ্জ ঝারকাটা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুরের মাদারগঞ্জ ২নং কড়ইচড়া ইউনিয়নে মহিষবাথান গড় পাড়া গ্রামের ঝারকাটা নদী থেকে  আওয়ামী লীগের ধুসর আনিছ মিয়ার বিরুদ্ধে ১টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে অসহায় মানুষের বসতবাড়ি। 

তবে উপজেলা প্রশাসন বলছেন, কড়ইচড়া ইউনিয়নের ঝারকাটা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে সরকারিভাবে কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝারকাটা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কোন ধরনের ব্যবস্থা নেইনি প্রশাসন। প্রায় দুই বছর আগে অভিযান পরিচালনা করলেও আর কোন এই নদীতে অভিযান পরিচালনা হয়নি বলেও জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহিষ বাথান গড় পাড়া গ্রামের ঝারকাটা নদী থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কয়েকটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে মহিষ বাথান এলাকাসহ। এভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতে থাকলে কৃষি জমি যেকোনো মুহূর্তে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রভাবশালী আনিছ মিয়া ও আরো কয়েকজন মিলে নদী থেকে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। একেক জায়গায় বছরের পর বছর বালু উত্তোলন করছে ৩ থেকে ৪ টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে। এ বালুদস্যু চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু বিক্রি করে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকার বালু বিক্রি করছে। নদী থেকে দিনরাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক দরিদ্র কৃষক বলেন, অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে নদী তার গতিপথ হারাচ্ছে। ফলে প্রতিবছর বর্ষায় নদীতে ফসলের জমি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা যদি বাদা দেই আমাদের নানানরকম হুমকি দিয়ে থাকে। এবং পুলিশ প্রশাসন যদি এসে বাদা দেয় কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে আবার পুলিশ প্রশাসন চলে গেলে চালু করে বালু উত্তোলন করতে থাকে। এভাবে যদি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতে থাকে আমাদের ফসলের জমি নদী হয়ে যাবে। 

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে আনিছ মিয়া ও আরো যারা দোষী ব্যক্তি রয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে কারা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে, সেটা তদন্ত করার দাবি জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন,ঝারকাটা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে সরকারিভাবে কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।