নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া বাজারের মের্সাস সরকার ট্রেডার্সে ইউরিয়া ও বি এডিসি সার বেশিদামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।
তার দোকানে গিয়ে দেখা যায় বিসিআইসি ডিলার নিমাই সরকার নিজের ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করছে সার। মাদারগঞ্জ উপজেলা ১নং চরপাকেরদহ তেঘরিয়া বাজারে ইউরিয়া (গুড়াশাল) সারের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। বিএডিসি (ডিএপি) সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ সরকার ট্রেডার্সে ১৪'শ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে সাধারণ কৃষকরা বেশিদামে সার ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জানাযায়, ডিলারের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এসব ইউরিয়া সার নিয়ে বিক্রি করছে ৩০ টাকা কেজি দরে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা কৃষকের ওপর এভাবে চেপে বসেছে বলে মনে করছেন কৃষকরা। কেনার সময় কৃষকরা রশিদ চাইলে তাদের কাছে সার বিক্রি করা হচ্ছে না বলে জানান সাধারণ ভুক্তভোগী কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারের কোনো সংকট নেই। তারপরেও এভাবে বাড়তি দামে সার বিক্রি করে যাচ্ছে নিমাই সরকার।
কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যানুসারে, মাদারগঞ্জ উপজেলায় বিসিআইসির ২০ থেকর ২১ টি ডিলার রয়েছে ও বিএডিসি ৬ থেকে ৭ টি ডিলার রয়েছে। এ ছাড়া খুচরা ব্যবসায়ী রয়েছে অনেক জন। সরকারি নির্দেশনা রয়েছে, কৃষকের কাছে ২৭ টাকা কেজি দরে ১৩৫০ টাকায় ৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া ও বিএডিসি ২১ টাকা কেজি ১০৫০ টাকায় এক বস্তা সার বিক্রি করতে হবে। খুচরা বিক্রেতারা ডিলারদের কাছ থেকে ১৩৩০ টাকা বস্তা দরে ইউরিয়া সার কিনতে পারবেন। কিন্তু সরকারি এসব নিয়মের ধার ধারছেন না. মেসার্স সরকার ট্রেডার্সে মালিক নিমাই সরকার।
কোয়ালিকান্দী কৃষক জালাল উদ্দিন,রুকনাই গ্রামের বাসেদ আলীসহ একাধিক কৃষক জানান, তাদেরকে খুচরা ২৯-৩০ টাকা কেজি দরে সার কিনতে হচ্ছে। আর বস্তায় দিতে হচ্ছে কমপক্ষে ১৪০০ টাকা। এ ছাড়া দোকান থেকে কোনো ক্যাশমেমো দেওয়া হয় না।
মাদারগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর আহমেদ বলেন, সারের কোথাও কোনো সংকট নেই। কেউ যদি বেশি দামে সার বিক্রি করে কৃষকের অভিযোগ পেলে ডিলার কিংবা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
