Monday, 29 May 2023

রাজশাহী'র তানোরে এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মঃ

রাজশাহী'র তানোরে এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মঃ

এম, শামসুল আলম।
(রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি)

রাজশাহী জেলাধীন তানোর উপজেলার অন্তর্ভূক্ত তানোর পৌরসভার "আকচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়" এর উন্নয়ন কাজে বরাদ্দের টাকাসহ স্কুলের ফাণ্ডের অর্থ নয়-ছয় করে তছরূপ করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সরেজমিন তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দ্বাবীতে গত (২৫মে) বৃহস্প্রতিবার এলাকাবাসীগণ- স্থানীয় সাংসদ ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়দের ভাষ্য; আওয়ামী লীগ সরকার- শিক্ষাবান্ধব সরকার, তাই শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মাণ বাড়াতে শ্রেণী কক্ষ থেকে শুরু করে টয়লেট, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যালয় মেরামত বাবদ স্লীপ প্রকল্পে বিদ্যালয় প্রতি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ করেছেন। এক থেকে একশ” শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার, এক থেকে দুশ ”শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিদ্যালয়ে ৭৫ হাজার ও এক থেকে তিনশ” শিক্ষার্থী রয়েছে- এমন বিদ্যালয়ে এক লাখ টাকা করে স্লীপ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে; বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে তানোরের আকচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লীপ প্রকল্প থেকে ৭৫ হাজার ও ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্প থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান; আকচা স্কুলের দৃশ্যমান তেমন কোনো উন্নয়ন কাজ না করেই এসব টাকা নয়-ছয় করে খরচ দেখিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চম্পা রানী। সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন; এখানে প্রতিবছরেই বরাদ্দ আশে তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না, এবারো তেমনটি হতে চলেছে। এমনকি স্কুল ফান্ডে থাকা টাকাও নয়ছয় করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চম্পা রাণী তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন; সব টাকার কাজ করা হয়েছে, কাজ করতে গিয়ে অর্থ সংকট পড়লে স্কুল ফাণ্ডের টাকা দিয়ে কাজ করা হয়েছে। তবে তিনি এইসব কাজের কোন ভাউচার দেখাতে চায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি ও আকচা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাশেদ আলী বলেন; বিষয়টি উদ্ধর্তন কৃর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কৃর্তপক্ষ। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি পিযূষ কান্তি চৌধূরী বলেন; অধিকাংশ বিদ্যালয়ে সবেমাত্র টাকা উত্তোলন হয়েছে। এখন ধীরে-ধীরে দেখেশুনে কাজ করা হবে। তিনি বলেন; ৩০ জুনের মধ্যে কাজ করার কোনো বাধ্যবাধকতা নাই, আর অর্থ তছরুপের তো কোনো প্রশ্নই উঠে না। এসব এবিষয়ে জানতে

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও)’র সাথে যোগাযোগ করে- তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।