জাকিউল ইসলাম দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
অবৈধভাবে মাহিন্দ্রা, ভেকু ও ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে মাটি কাঁটায় ভেঙে যাচ্ছে ফসলি জমি, দিশেহারা কৃষক। যেনো দেখার কেউ নাই।
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের কদমতলি মেইন রাস্তার পুর্বপাশে নিমাইমারী এলাকায় ভুক্তভোগী কৃষক আবু সাঈদ, আতাউর রহমান এর ফসলি জমি ও মহির উদ্দিন, জনাব আলী, হাবেল,ছমের এর বসত বাড়ি বন্যার পানি ঢোকার আগেই ভেঙে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগীগণ জানান ব্রম্মপুত্র নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় কদমতলি মেইন রাস্তার উপর নতুন ব্রিজের নীচ দিয়ে পানি দ্রুত এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে।
এদিকে কদমতলি মেইন রাস্তার ২০০ গজ পুর্বপাশে থেকে জিঞ্জিরাম নদী পর্যন্ত বিভিন্ন যান্ত্রিক মাটি কাঁটায় খালের সৃষ্টি হয়েছে। মৌখিক অভিযোগ আছে, বালু ও মাটি ব্যবস্যায়ী আয়জুদ্দিন,জয়নুদ্দিন,জামাল,মোতালেব (মোতাল), সালাম, মারফত, হাবিবুর,হাফিজুর এর নেতৃত্বে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি হয়েছে,যার কারণে তাদের ফসলি জমি ও বাড়ি ভেঙে গেছে।
ফসলি জমি ও বাড়ি ভেঙ্গে যাবার ভয়ে বাড়ির মালিক মহির উদ্দিন বলেন একাধিক বার মাটি খননে বাধা দিলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে তা বন্ধ করা যায় নি।
পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডিসি'র কাছে লিখিত অভিযোগ করে মাটি কাঁটা বন্ধ করা সম্ভব হয়। কিন্তু ততক্ষনে আমার বাড়ি প্রায় ভেঙে যাচ্ছে এর ক্ষতিপূরণ কে দিবে।
জমির মালিক আবু সাঈদ ও আতাউর রহমান বলেন বারবার লিখিত অভিযোগ কারার পরও তারা প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমি মাটি কেটে খাল বানিয়েছে এখন আমাদের ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই। আমরা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।