Tuesday, 12 September 2023

শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যের সাথে বিদফা নারীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ

শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যের সাথে বিদফা নারীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

২নং শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ মিলন মিয়ার সাথে তার একই ওয়ার্ডের মধ্য রণরামপুর গ্রামের প্রবাসী  মৃতঃ রফিকুল ইসলামের বিদফা স্ত্রী রুবির সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন একই এলাকার গ্রামবাসীরা। 

রণরামপুর মধ্যপাড়া গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ আকলীমা বেগম বলেন, প্রবাস জীবনে থাকা অবস্থায় সৌদি আরবে রফিকুল মিয়া তার তিনটি সন্তান রেখে মারা যান,মারা যাওয়ার পর থেকেই তার স্ত্রীর সাথে অনৈতিকভাবে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই এলাকার মেম্বার মোঃ মিলন মিয়ার সাথে,মেম্বারকে বিভিন্ন সময় রুবির ঘরে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় দরজা জানালা বন্ধ করে সময় কাটাতে দেখা যায়।যা নিয়ে  আমাদের এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ  সৃষ্টি হয়েছে।আমরা যেহেতু মুসলিম দেশে বসবাস করি এই দেশে বিবাহ ছাড়া একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার ঘরে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক বেশিবেশি যাতায়াত করলে তা আমাদের সমাজের চোখে দৃষ্টিকটুর ও ধর্মীয় রীতিনীতিতে জঘন্যতম অপরাধ।

একই গ্রামের মোঃজলিল মিয়ার স্ত্রী ও ও রুবিনার বড় যাও লাইলী বেগম বলেন,ইউপি সদস্য মিলন মিয়ার এই বাড়িতে অতিরিক্ত যাতায়াত করা নিয়ে আমাদের গ্রামবাসীদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়,পরবর্তীতে আমরা এ অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনার সত্যতা পাই।এবং রবির তিনটি সন্তান তাদের মায়ের ও মেম্বারের অনৈতিক সম্পর্কের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে।পাশাপাশি আমরা গ্রামবাসী ও আত্মীয়-স্বজনরাও লজ্জায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলম আলী বলেন, আমি আমার ইউপি সদস্যের এই বিষয় টি সম্পর্কে আগেই অবগত আছি,আমি আমার ইউপি সদস্য কে বুঝিয়েছি এমন কোন কাজ কখন করবেন না যাতে আমার পরিষদের বদনাম হয়,আপনাদের ব্যক্তিজীবনের কোন ঘটনার জন্য যেন আমার পরিষদের সুনাম নষ্ট না হয়।তাদের ব্যক্তি জীবন তাদের স্বাধীন এই বিষয়ে আমার আর বলার কিছু নেই।

এই বিষয়ে ইউপি মেম্বার মিলন মিয়া বলেন,আমার সাথে রুবির অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট,আমরা শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ করেছি।

এই বিষয়ে গ্রামবাসীর অভিযোগ যদি তারা শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ করে থাকে তাহলে তাদের বিবাহের কাবিননামা কোথায় এবং কেন রুবি বিবাহর পরও তার সাবেক স্বামীর বাসায় বসবাস করছে এখনো।এবং রুবির ছোট ছোট তিনটি বাচ্চার ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নিবে।পাশাপাশি গ্রামবাসী আরো বলেন, মিলন মিয়া খুবই দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ তারে অনৈতিক সম্পর্কের কথা কেউ যেন প্রকাশ না করে এই বিষয়ে তিনি সবসময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন গ্রামবাসীকে।এই ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোন গ্রামবাসী অভিযোগ দিতে চায়না।