Thursday, 2 November 2023

জেল সুপারের বাসভবনে বসবাস করছেন ডিসি অফিসের দুই কর্মচারী

জেল সুপারের বাসভবনে বসবাস করছেন ডিসি অফিসের  দুই কর্মচারী

বিশেষ প্রতিনিধিঃ 

জামালপুরে জেল সুপারের বাসভবনে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জারিকারক মোঃ আকরাম হোসেন ও গোপনীয় শাখার পিয়ন রজব আলী নামের দুই তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। এ নিয়ে কারাগারের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর ডায়াবেটিকস হাসপাতালের  পাশেই জেল সুপারের বাসভবন। একতলা বিশিষ্ট ভবনটি দুভাগে বিভক্ত। প্রতিটি ভাগেই রয়েছে তিনটি কক্ষ, একটি বাথরুম, একটি রান্নাঘর ও একটি বারান্দা। সেখানে সপরিবারে বসবাস করছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী

এসময় কথা হয় জারিকারক  আকরাম হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, আমি আগে কারাগারের ভেতরের কোয়ার্টারে থাকতাম। ওটা ভেঙে দেওয়ার সময় এখানে এসেছি। এখানে প্রায় ৩-৪ বছর যাবৎ আছি। আমার বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের চরযথার্থপুর ভাটিপাড়া গ্রামে। আমার অফিস থেকে বাড়ি অনেক দূরে। নদী পাড় হয়ে আসা লাগে। তাই এখানেই থাকি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়েটা এসএসসি পরীক্ষা দেবে। শহরে একটা বাসা ভাড়া নিতে গেলে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা লাগবে। যে টাকা বেতন পাই সেটা দিয়ে সংসার চলে না। বাসা ভাড়া কিভাবে নেব? এখানে আছি কারাগারের কেউ এখনো কিছু বলে নাই। বললে চলে যাব।

এসময় রজব আলীকে না পাওয়া গেলেও তার এক স্বজন বলেন, আমরা আগে কারাগারের কোয়ার্টারে ছিলাম ২২ বছর। ওটা ভেঙে ফেলার পর এখানে উঠেছি প্রায় বছরখানেক হলো। আমাদের কেউ কখনও কিছু বলেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামালপুর জেলা কারাগারের একজন কর্মচারী বলেন, ডিসি অফিসের দুজন কর্মচারী জেল সুপার ও মেডিকেল অফিসারের বাসভবন দখল করে আছেন। সেটি তো জেলা কারাগারের সম্পত্তি। সেখানে জেল সুপার ও মেডিকেল অফিসাররা না থাকলে আমাদের স্টাফরা থাকবে। অন্যরা কেন থাকবে? আমাদের স্টাফরাও অনেক কষ্ট করে থাকেন। আমারা চাই যে তারা সেখান থেকে চলে যাক। আমাদের স্টাফরা সেখানে থাকুক।

এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার তাসনীম জাহান মোবাইল ফোনে বলেন, আমি সম্প্রতি এই পদে দায়িত্ব নিয়েছি। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না, কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব৷