Tuesday, 12 March 2024

জামালপুরের গাজিপুর বাজার দুই যুগ পেরুলেও হয়নি ড্রেনেজ ব্যবস্থা

জামালপুরের গাজিপুর বাজার দুই যুগ পেরুলেও হয়নি ড্রেনেজ ব্যবস্থা

জামালপুর প্রতিনিধিঃ বিপুল মিয়া 

জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের গাজিপুর বাজার।এ বাজার প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পার হলেই হয়নি কোন  ড্রেনেজ ব্যবস্থা,নেই কোন ব্যবসায়ীদের জন্য পাকা স্থাপনা,নেই কোন বাজারের চোখে পড়ার মতো উন্নয়নও।বৃষ্টি হলেই কাদায় বাজারটি সয়লাব হয়ে বারোটা বেজে যায় ক্রেতা- বিক্রেতাদের। এখানে সপ্তাহে বুধবার বসে গরু,মহিষ,ছাগল-ভেড়া ও বাইসাইকেলের হাট। এখানে দেশের বিভিন্ন  অঞ্চল থেকে লোকজন গরু,মহিষ বেঁচা-কেনা করতে আসে।এদের জন্যও নেই কোন থাকা খাওয়ার সু ব্যবস্থা,নেই কোন পয়নিষ্কান ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।ঝুঁকি নিয়েই তাদের কেনা বেঁচা করতে হচ্ছে সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গরু- মহিষের বাজার থেকে অন্তত দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার খাজনা আদায় হয়ে থাকে। এছাড়া ওইখানে সপ্তাহের শনিও মঙ্গলবার দিন বসে শুকনো মরিচের বাজার,সেখানে প্রতি বাজারে দুই থেকে তিনশ মন শুকনো মরিচ বিক্রি হয়ে থাকে। এতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো খাজনা আদায় হয়ে থাকে বলে জানান বাজার সংলগ্ন স্থায়ী বাসিন্দারা।বাজারে পরিচালনা কমটির কোন ব্যবস্থা না থাকায় একজন কয়েকজন  প্রভাবশালীর নির্দেশনায় চলছে বাজারের খাজনা আদায়ের কার্যক্রম। বাজারটির উন্নয়নে সরকারীভাবে  ব্যবস্থা চান এলাকার সচেতন মহল। 

এ ব্যাপারে গাজিপুর বাজারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো.আজাহার আলী বলেন,খাজনার ব্যাপারে এলাকার সাধারনরা যা বলছে,অতটা নয়,তবে বুধবার হাটে  তিন থেকে চারশত পরিমানের মতো গরু- মহিষ বিক্রি হয়ে থাকে এতে একটা এমাউন্ট আসে,এ থেকে প্রতি বছর ইউএনও অফিসের ফান্ডে কিছু জমা দেয়া হয়। তিনি ইজারা বিষয়ে বলেন,গেল মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি বাজরটি তিনলক্ষ পঁচাশি হাজার নয়শত আটান্ন টাকা মুল্যে সরকারিভাবে দরপত্রের আহবান হলে আমি বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ মুল্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাজারটি পেয়ে যাই। পরে ওই দিনই শুনতে পারি,গাজিপুর  বাজারের জন্য কোন সরকারি জমি না থাকায় এলাকার আলম মিয়া নামে এক ব্যাক্তির হাইকোর্টে রিট করেছে। তবে  বাজারটি আগের মতো করেই চলছে।তিনি এলাকাবাসির সহযোগিতা নিয়ে বাজারটির উন্নয়ন করতে চান। 

জানাগেছে, জামালপুর সদর উজেলার মেস্টা ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী হাজিপুর বাজার থেকে ঝিনাই নদী'র খেয়া পাড় হয়ে যেতে হতো ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাশ হাটিয়া,মেলান্দহ উপজেলা এলাকায়।ইংরেজি সালটি ছিল ১৯৯৭ইং।ওই সময়ে ঝিনাই নদীর খেয়া ঘাট নিয়ে দুই পাড়ের লোকজনদের মধ্যে খেয়া-ঘাটের ভাড়া বিষয় নিয়ে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়।পরে হাজিপুর বাজারের একাংশ ভেঙ্গে নদীর ওই পাড়ের জনসাধারন কাপাশ হাটিয়া এলাকায় গাজিপুর বাজারের নাম করণ হয়।বাজরটি উন্নয়নের জন্য কাপাশ হাটিয়া এলাকার খাদেম আলী,জাবদুল শেখ ও অব্যর মন্ডল নামের ব্যাক্তি ওই সময় ১১শতাং জমি দেন সরকারের নামে।পরে চলতে থাকে ঝাঁক-জমকপূর্ণ বাজার।পরে ২০২১ সালে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রহুল আমীন মিলন কেন্দুয়া গরুর হাট নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হলে তিনি রহুল আমীন মিলন গাজিপুর এলাকাবাসিদের নিয়ে ওখানে গরু-মহিষের হাট বসান।মিলনের নেতৃত্বে ওই বাজর চলে ৮ বছর।পরে বাজারটি সরকারের নজরে এসে টেন্ডার প্রাপ্ত হলে এলাকার কিছু স্বার্থন্বেশী মহল হাইকোর্টে রিটপিটিশন করে তা স্থিগত করে দেয়। 

এ ব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএন মাহবুবা হক জানান,বাজারটি সরকারি নিয়মানুযায়ী এবার ডাক হয়েছে। তবে বাজারটির ইজারা বন্ধ বিষয়ে  হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের চিঠি সোমবার বিকাল ৩ টা  পর্যন্তও তার অফিসে পৌঁছেনি বলে জানান তিনি।