নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চোরাই পথে ভারতী চিনি এনে জামালপুরের নান্দিনায় দেশীয় বস্তায় প্যাকেট করে বাজারে বাজারে বিক্রির মূল হোতা নান্দিনা গরু হাটির আলাউদ্দিন ও শামীম মিয়া।
জানা গেছে, আলাউদ্দিন ও শামীম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে নান্দিনা গরু হাটিতে গুড় তৈরি কারখানা দিয়েছে। এই কারখানায় ভারতীয় টিনের গুড় গলিয়ে নালী, ময়দা মিশিয়ে তৈরি করে গুড়ের মুঠা, গুড়ের চিনি। এই সকল নিম্নমানের গল্প বাজারজাত করে থাকে জেলা সদরের বাজারগুলোতে। দেশীয় বাজারগুলোতে চিনির দাম বেশী হওয়ায় অধীক লাভের আশায় সরকারি ভ্যাট ফাকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে চিনি আমদানি করে দেশীয় নামিদামি কোম্পানির বস্তায় ভারতীয় চিনি প্যাকেট করে বাজারজাত করে যাচ্ছে এই চোরাকারবারিরা।
বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চিনির দাম কম থাকায় সুযোগ নিচ্ছে এইরকম বেশ কিছু চোরাকারবারিরা।
এতে করে দেশীয় আমদানি করা চিনি বিক্রি কমে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ধোবাউড়া,নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলা সীমান্ত দিয়া আনা হচ্ছে ভারতীয় চিনি।
সীমান্ত দিয়ে মাথায় করে বা বাইসাইকেল দিয়ে এসব চিনি আনা হয়ে থাকে। ওখান থেকে আলাউদ্দিন ও শামীমের মত চোরাই কারবারীর মূল হোতারা পিকআপ ভ্যানে করে এনে ভারতীয় চিনির লোগো চেঞ্জ করে বাংলাদেশের ফ্রেশ চিনির ও তীর চিনির পুরাতন বস্তায় ভরে দেশীয় চিনি বলে বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এসকল চুরাকারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জামালপুরবাসীর।