স্টাফ রিপোর্টারঃ
জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের ছাতিয়ানি এলাকায় মসজিদের জমি ওয়াফক করাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার ফারুক হোসেন ও আশরাফ আলীর লোকজনের মধ্যে ২১ মার্চ হাতাহিাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু‘পক্ষের মধ্যে পালল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করায় একই এলাকার ১২ জন শিক্ষাথীর সরকার একাডেমিক স্কুলে পাঠদান বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছাতিয়ানি এলাকার আশরাফ আলীর পিতা জয়েন উদ্দিন প্রায় ৫০ বছর আগে মসজিদের জন্য ৪ শতাংশ জমি দান করেন। এই মসজিদে এলাকার মুসল্লিরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। জয়েন উদ্দিনে মৃত্যুতে আশরাফ আলী ও তার ভাইয়েরা মসজিদের জমি নিজ নিজ নামে খারিজ/ নামজারি করে নেয়। এতে মুসল্লিদের মাঝে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্য ায়ে গত ৩ মাসে আগে স্থানীয় লোকজন বসে জয়েন উদ্দিনের ছেলেদের জমি মসজিদের নামে ওয়াফক করে দিতে বলে। জয়েন উদ্দিনের ছেলেরা মসজিদের জমি ওয়াফক করে দিতে টালবাহনা করায় স্থানীয় লোকজন একই এলাকার ফারুক হোসেন উপর দাযীত্ব দেন বিষয়টি মিমাংসার জন্য। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১ মার্চ ইফতারের আগ মূহুর্তে ফারুক হোসেন আশরাফ আলীদের সাথে মসজিদের জমি ওয়াফক করে দেয়ার কথা বললে আশরাফ আলী, মোকছেদ আলী ও মোতালেব হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে ফারুক হোসেনের উপর হামলা করলে দু‘পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোঃ ফারুক হোসেন বাদি হয়ে ৭ জনকে বিবাদী করে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, আশরাফ আলী বাদী হেয়ে ৮ জনকে বিবাদী করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দু‘পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলাকে কেন্দ্র করে চলছে চাপা উত্তেজনা। দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলার ফলে ছাতিয়ানী এলাকায় মোতালেব হোসেনর ছেলের পরিচায়নায় সরকার একাডেমিক স্কুলে প্রতিপক্ষের ১২জন শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। মামলার রোষানলে ১২ জন শিক্ষার্থী এক বছরের লেখাপড়া অনিশ্চিত।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমার ছেলেকে স্কুলে পাঠালে তারা গাড়ীর নিচে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলবে। তাদের এসকল কথাবার্তায় আমরা শঙ্কিত।স্কুলের পরিচালক যেহেতু মামলার বিবাদী মোতালেব হোসেনের ছেলে সেহেতু আমাদের বাচ্চার নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
এ ব্যাপারে মোতালেব হোসেনের ছেলে সরকার একাডেমিক স্কুলে শিক্ষক শাকিলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দু‘পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা হওয়ায় ১২ শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ভয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠান না। এতে প্রতিষ্ঠানের কি করার আছে।
ছাতিয়ানিপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকারের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রায় ৪০/৫০ বছর আগে জয়েন উদ্দিন মসজিদের নামে ৪ শতাংশ জমি ওয়াফক করে দনে। সম্প্রতি তার ছেলে মেয়োরা তাদের নামে জমি নামজারি খারিজ করে নেয়ায় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ফজলুল হক ও ফারুক হোসেনকে মিমাংসার জন্য দাযিত্ব দেয় হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।