Wednesday, 24 April 2024

কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিদ্যালয়ে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা বাস্তবায়নে এ্যাডভোকেসি সভা

 

কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা  বিদ্যালয়ে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা বাস্তবায়নে এ্যাডভোকেসি সভা

বিপুল মিয়া, জামালপুরঃ

বিদ্যালয় বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়নে ২৪ এপ্রিল, বুধবার জামালপুর পৌরসভায় এক এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্র্যাক অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্প আয়োজিত এ্যাডিভোকেসি সভায় জামালপুর পৌরসভার সম্মানিত মেয়র, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ, সচিব ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জামালপুর পৌরসভা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলামিাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও প্রকল্প সংগঠিত ইয়ুথগণ উপস্থিতি ছিলেন। ইয়ুথ সদস্য মোঃ অলি ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ইয়ুথ লিডার মোঃ জিল্ল ‍ুর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ছানোয়ার হোসেন, মেয়র, জামালপুর পৌরসভা এবং বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ উত্তম কুমার সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সদর এবং মোঃ ছানোয়ার হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,সদর,জামালপুর। কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা ও স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা  বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরন ও সমাধানে কৌশল নির্ধারণের মাধ্যমে পারস্পরিক অংশিদারিত্ব তৈরি  এবং কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা ও স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা বাস্তবায়নে স্থানীয় পর্যায়ে বাজেট পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্দেশ্যে এই এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অংশগ্রহণকারীরা কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা এবং বিদ্যালয়ে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা বাস্তবায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপট,চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তোরণে করনীয় ও বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে প্রস্তাবনা আকারে নিজেদের পরিকল্পনা ও অভিমত উপস্থাপন করেন। এক্ষেত্রে যে সকল চ্যালেঞ্জ বের হয় তার প্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার বক্তব্যে সমস্যা সমাধান করে বাস্তায়নের উপর জোড় দেন। তিনি বলেন- কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ। 

বিদ্যালয়ে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সভায় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন নতুন কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের সঠিক গঠনে সহায়ক। এজন্য নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা দরকার। স্থানীয় সরকারের ভুমিকা দরকার সবার আগে। এখানে দরকার হবে বাজেটের। দরকার স্থানীয় স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে সক্রিয় রাখা। এজন্য পৌরসভার সম্মানিত মেয়র মহোদয় ও কাউন্সিলরগণ এক্ষেত্রে উদ্যোগী ভুমিকা রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। 

বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা সবার প্রাপ্য। সরকার এগুলোর বাস্তবায়নে অনেক সূদূরপ্রসারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি তথা পৌরসভার মেয়র হিসাবে, কাউন্সিলর হিসাবে এগুলোর বাস্তায়ন নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য । ব্র্যাক অধিকার এখানে এখনই প্রকল্প আজকে আমাদের সামনে কাজের যে জায়গাগুলো তুলে ধরলো, সেগুলো করা আমাদেরই কাজ। আমাদের এলাকার কিশোর কিশোরীদের ভালো রাখার জন্য এবং স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা পাঠদান ঠিকমত করানোর জন্য আমরা সবাই উদ্যোগ নেব। আপনারা যারা বিদ্যালয় কমিটিতে আছেন তারা এগুলো নিয়মিত ফলোআপ করবেন। যদি বাজেট লাগে তাহলে আপনারা যখন ওয়ার্ডের বাজেট করেন সেখানে এগুলো অন্তভুক্ত করবেন। আমার পৌরসভার প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী যাতে পাঠদান হয় তার নিশ্চয়তা আমি নিশ্চিত করবো। শিক্ষা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করবো কারিকুলাম বাস্তবায়নে যদি কোথায়ও সমস্যা হয় আমাকে জানাবেন। আমি আপনাকে সহায়তা  করবো। বিদ্যালয়ে সুস্থ্য পরিবেশে পাঠদানের জন্য স্বাস্থ্যকর টয়লেট ও স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা করা হবে। ইজ্জাতুন নেছা স্কুল যদি স্বাস্থ্যকর মাসিক ব্যবস্থাপনার জন্য ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করতে পারে তাহলে অন্যরা পারবে না কেন। এখানে যে সকল শিক্ষকবৃন্দ আছেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করবো। ইজ্জাতুন নেছার মতো আপনারাও উদ্যোগ নেন। আমি এবং আমার পৌরসভা আপনাদের সাথে আছে।এ্যাডভোকেসি সভার প্রধান অতিথী তার বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য অনুরোধ করেন। সেই সাথে বিদ্যালয়ে টয়লেট ব্যবস্থা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও উন্নতকরনের উপর জোর দেন এবং এই ধরেনের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানান। 

অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্পের আয়োজনে ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী আহমেদ ওমর ফারুক এর স্বাগত বক্ব্যর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রকল্প সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং বিদ্যালয় বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা  ও কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে সরকারের  উদ্যোগসমূহ  ও আমাদের করনীয় তুলে ধরে আজকের এ্যাডিভোকেসি সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ও মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ জিল্লুর রহমান। এ্যাডভোকেসি সভায় উপস্থিত থেকে সহায়তা করেন জেলা ইয়ুথ মবিলাইজার কাকলি আক্তার, ইয়ুথ লিডার ফয়সাল, কেয়া,জুই,বৃষ্টি, বিপুলসহ অন্যান্য ইয়ুথরা।