Friday, 25 April 2025

সরিষাবাড়ীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

সরিষাবাড়ীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা, দেশীয় অস্ত্র ও নগদ অর্থসহ সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের শশাবর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়া ওই ইউনিয়নের জালাল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে। প্রথমে তার দেহ তল্লাশিতে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির আঙিনায় খড়ের গাদার ভেতর থেকে আরও ১৮ কেজি গাঁজা, নগদ ৪ হাজার ১১০ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, গাঁজা পরিমাপের যন্ত্র ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।” তিনি মাদকের তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

 সরিষাবাড়ী অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট শাহরিয়ার তালুকদার রিফাত। তিনি বলেন, “সেনা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে জনসাধারণের সক্রিয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Friday, 18 April 2025

জামালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা এখনো চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  
জামালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা এখনো চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাদারগঞ্জ উপজেলার ২নং কড়ইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চুর। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে এখনও রয়েছেন বহাল এ ঘটনায় সাধারণ জনগণের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে।

৫ই আগস্টের পর দেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের পরিবর্তন হলেও এখনো পরিবর্তন হয়নি ২ নং কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক এমপি মির্জা আজমের প্রভাব ও ভোট বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে দুই,দুই বার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন মোজাম্মেল হক বাচ্চু। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে আত্মসাৎ করেছেন কোটি কোটি টাকা। কাজ না করেও তিনি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় নিযুক্ত ছিলেন।

এছাড়া, জানা যায়,আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত দিনে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চু বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার জন্য কুখ্যাত হয়েছেন। স্থানীয় বিরোধী দলের নেতাদের পরিষদে ডেকে এনে করতেন মারধর ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের আওয়ামী লীগে যোগ দিতে বাধ্য করতেন।

সচেতন মহল জানান,ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হওয়ার পরও মোজাম্মেল হক বাচ্চু কীভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন, এটাই সাধারণ জনগণের প্রশ্ন এবং চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চুর নামে এখনো হয়নি কোন রাজনৈতিক মামলা।

চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ৬ বছর আগে আওয়ামী লীগ করতাম বর্তমানে আমার কোন পদ নাই। বিএনপি নেতাদের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক থাকায় আমার নামে কোন মামলা হয়নি।


Friday, 11 April 2025

পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার লিজা:

শ্রুতি রয়েছে যে, বৈসাবির শিকড় মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। থাইল্যান্ড, মায়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়া এইসব দেশগুলোতে একই সময়ে নববর্ষ উদ্‌যাপিত হয়- যা ‘সংক্রান’ নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, শত শত বছর আগে আরাকান ও বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) থেকে মারমা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে আসার সময় তাদের সাংগ্রাই উৎসব সঙ্গে নিয়ে আসে। একইভাবে চাকমা ও ত্রিপুরাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও উৎসবও ধীরে ধীরে একসঙ্গে মিলিত হয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ হয়েছে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা বৃহত্তর মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। বৈশাখ মাসে তিব্বত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত নতুন বছর শুরু হয়। পার্বত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর সকলেই নিজেদের নববর্ষ পালন করে থাকে এই সময়টিতে। বৈসাবি নামটি তিনটি জনগোষ্ঠীর উৎসবের আদ্যক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে। চাকমাদের ‘বিঝু’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ ও ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’- এই তিন উৎসব মিলেই ‘বৈসাবি’। তবে শুধু বৈসাবি পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তির অনুষ্ঠানের বহুমাত্রিকতাকে প্রকাশ করে না। এখানে স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন - ‘বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং নামগুলো। ‘বৈসাবি’ উৎসব নামকরণের পাশাপাশি চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব উদযাপনে অন্যান্য উৎসবগুলোর নাম থাকলে বৈষম্য অনেকটা ঘুচে যেতো বলে মনে করা হয়। যদিও প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে উদ‌যাপনের ধরন কিছুটা আলাদা, তবু উৎসবের মূল চেতনায় থাকে আনন্দ, ভালোবাসা ও নতুন বছরের শুভ সূচনা। চাকমারা তিন দিনব্যাপী বিঝু পালন করে। পার্বত্য জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে এই উৎসবের মাধ্যমে। 

নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় করতে চৈত্র সংক্রান্তির এই দিনে প্রতিবছরের ন্যায় পাহাড়ে চলছে জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দের রব। নানা আয়োজনে জমে উঠেছে উৎসবমুখর আনন্দের এই পরিবেশ। ‘বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং বাহারি ফুল আর পাতার সমাহারে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মিলনমেলায় পরিণত হবে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জনপদ এবং রাজধানীতে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি অধিবাসী। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজধানীতে বসবাসরত পাহাড়ি তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ, জায়া-জননীরা মিলেমিশে প্রাণের এই উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছে। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডের পার্বত্য কমপ্লেক্স হতে রমনা পার্কের লেকে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিরা এবারও মেতে ওঠবে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের দিন বদলের সাক্ষী সেইসকল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধারাও এবার মাতিয়ে তুলবে এ উৎসবকে। বৈসাবির মন-মাতানো এমন রং প্রতিবছরের চৈত্র সংক্রান্তিতে সব বয়সের পাহাড়ি মানুষের মনে দামামা হয়ে বেজে ওঠে। আগামী ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে পাহাড়িদের প্রধান এই সামাজিক উৎসব। এই উৎসব ঘিরে সব সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটতে যাচ্ছে। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে বৈসাবি উৎসবের রং লেগেছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পাহাড়। বসেছে আনন্দ উল্লাস আর নাচ-গানের আসর। পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমনের উৎসব বৈসাবিকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলার মধ্য দিয়ে জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে বৈসাবি উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১২ এপ্রিল রাজধানীতে বৈসাবি শোভাযাত্রা উদ্বোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। 

১০ ভাষাভাষীর ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীরা বৈসাবি উৎসবে যোগ দিবে। এ মেলায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যা তরুণ-তরুণীদের রং বে-রঙের সাজ আনন্দ বাড়িয়ে দিবে কয়েকগুণ। বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসবকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে। চাকমারা বিঝু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিসু হিসেবে পালন করে বৈসাবি উৎসবকে। বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালন করা হয়। 

বিঝু চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। ১২ এপ্রিল পালন করা হয় ফুলবিঝু। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগৃহীত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিঝু। এদিন সকালে বুদ্ধমূর্তি স্নান করিয়ে পূজা করা হয়। ছেলেমেয়েরা তাদের বৃদ্ধ ঠাকুরদা-ঠাকুরমা এবং দাদু-দিদাকে স্নান করায় এবং আশীর্বাদ নেয়। এদিন ঘরে ঘরে পোলাও, পায়েস, পাচন (বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের তরকারি)সহ অনেক সুস্বাদু খাবার রান্না করা হয়। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পালন করা হয় গোজ্যেপোজ্যে দিন (অবসর বা রেস্ট নেওয়ার সময়)। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ফুলি বিঝু সকলের মনকে আনন্দে রাঙ্গিয়ে দিবে এবারের এ আসর। বড় কোনো গাছ থাকলে তার নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে সম্মান জানিয়ে থাকে। গৃহপালিত পশুদের বিশ্রাম ও বিঝু উৎসব চলাকালে কোনো জীবিত প্রাণী হত্যা করা নিষেধ রয়েছে চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যে।

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব চৈত্র মাসের শেষ দুইদিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিনদিন ব্যাপী পালিত হয় বৈসু। ত্রিপুরাদের এ উৎসবের প্রথম দিনকে বলা হয় হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিনকে বৈসুমা এবং তৃতীয় বা শেষ দিনটিকে বলা হয় বিসি কতাল। মূলত আগামি দিনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করা হয়ে থাকে এ দিনে। তিনদিনব্যাপী এই বৈসু উৎসবের প্রথম দিন হারি বৈসু। হারি বৈসুতে ভোরবেলায় ফুলগাছ থেকে ফুল তোলার হিড়িক পড়ে যায়। সেই ফুল দিয়ে বাড়িঘর সাজানো ও সেই ফুল দিয়ে মন্তির ও পবিত্র স্থানগুলোতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বৈসাবি উ

Sunday, 6 April 2025

জামালপুরে ফিরতি ঈদ যাত্রায় নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

জামালপুরে ফিরতি ঈদ যাত্রায় নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জামালপুরে ফিরতি ঈদ যাত্রায় নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তবে বাস ভাড়া কিছুটা বাড়তি হলেও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। পরিবহন মালিক সমিতি বলছেন সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় তারা এবার যাত্রি পরিবহন করছেন।

গতকাল  রবিবার সকাল থেকেই জামালপুর আন্ত:জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত বাস থাকায় নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন এমনটাই আশা করছেন যাত্রীরা। মেহেদী হাসান সোহাগ ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে স্বপরিবারে ঈদ করতে গ্রামে এসে ছুটি শেষে কর্মস্থলে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই ফিরতে পারবেন বলে জানান। মেহেদীর মতো অনেকেই পরিবারের সাথে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন নির্বিঘ্নে।

জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভ জানান, এবারের ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের কথা চিন্তা করে সব ধরনের প্রস্তুতি তারা গ্রহণ করেছেন। কোন বাস যাতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নিতে না পারে তার জন্য  বিআরটিএ, পুলিশ, সেনাবাহিনীর পাশাপাশা  মালিক সমিতি তদারকি করছে।

Wednesday, 2 April 2025

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইসলামপুর ঈদমেলা থেকে নারী সহ ৪১ জনকে আটক করেছে পুলিশ

শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইসলামপুর ঈদমেলা থেকে নারী সহ ৩৮ জন্য আটক করেছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জামালপুরের ইসলামপুর নোয়ারপাড়া ঈদ মেলা থেকে অভিযানে নারী সহ ৪১ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। 

মঙ্গলবার (১এপ্রিল) গভীর রাতে ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের হারঘিলা বাঁধ এলাকা থেকে তাদের আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পুলিশ জানায়, ঈদের দিন থেকে হারঘিলা বাঁধে ঈদ মেলার নামে জোয়া অশ্লীলনৃত্য ও মাদকের আড্ডা চলছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩ জন নারী ও ৩৮ জন পুরুষ সহ মোট ৪১ জনকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নোয়ারপাড়া হারঘিলা বেড়িবাঁধ এলাকায় ঈদের দিন থেকে ঈদ মেলার নামে জোয়া মাদক সেবন, অশ্লীল নৃত্য পরিচালনা করে আসছে একটি মহল। জোয়া খেলায় অংশ নিয়ে অনেকেই অর্থ হারিয়ে, অর্থ যোগাড় করতে এলাকায় চুরি সহ বিভিন্ন নাশকতায় জড়িয়ে পরছিলো। অভিযান হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। 

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ সাইফ জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটক কৃতদের কোর্টের মাধ্যমেে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।