Thursday, 3 July 2025

আওয়ামী লীগের ধূসর ফ্যাসিবাদী ৩ ইউপি চেয়ারম্যান এখনো রয়েছে বহাল

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

আওয়ামী লীগের ধূসর ফ্যাসিবাদী ৩ ইউপি চেয়ারম্যান এখনো রয়েছে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩ আওয়ামী লীগের ধূসর ইউপি চেয়ারম্যানের। এখনো রীতিমতো অফিস করে যাচ্ছেন ৩ ইউপি চেয়ারম্যান।

স্বৈরাচারী পলাতক শেখ হাসিনা সরকার থাকাকালীন সময় জামালপুরের মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ্ব মির্জা আজমের ছত্রছায়ায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার এর মধ্য দিয়ে অনিয়মকে নিয়মের আয়তায় পরিণত করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩ ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি করেছেন জামালপুর শহরে বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি। ৩ ইউপি চেয়ারম্যানী হলেন সাবেক এমপি আওয়ামী লীগের ধূসর আলহাজ্ব মির্জা আজমের আত্মীয়-স্বজন যার বিনিময়ে এখনো ছাড়েননি ইউনিয়ন পরিষদ।

যে ৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান এখনো বহাল রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। 

মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম ও ৫নং জোরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সুজা মিঞা এবং ৬নং আদারভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এই ৩ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ৩ ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও নানা প্রকল্পে চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে এই ৩ ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি নানা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু একাধিক তদন্ত দীর্ঘ দিনেও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে ভুক্তভোগীরা হতাশ। 

জানা যায়, ৪ নং বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম ও ৫নং জোরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজা মিঞা এবং ৬নং আদারভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এই ৩ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তাদের আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব খোযাড়-খেয়া ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, হাটবাজার, ১% খাতের নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। তারা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজেদের ইচ্ছামতো খরচ করেন। অপরদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডপ্রতি সরকারি খরচ ১৫ টাকা থাকা সত্ত্বে কয়েক হাজার হাজার কার্ডে এন্ট্রি বাবদ কয়েক শত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই ইউপি ৩ চেয়ারম্যান। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ অর্থ লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই ৩ ইউপি চেয়ারম্যান তাদের নিজ এলাকার বাজারে অফিস খুলে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং ভুয়া রেজুলেশন করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানদের ও ইউনিয়নবাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এমনকি একাধিকবার লাঞ্ছিত, অবরুদ্ধ ঘটনাও বাদ পড়েনি। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সরকারি অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন গ্রামে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ঘুস গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ৩ ইউপি চেয়ারম্যন তাদের নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে ভিজিডি তালিকায় নাম উঠানোর কথা বলে অসহায় দুস্থদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুস গ্রহণ করছেন। বাদ পরেনি বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতাও। 

এ ব্যাপারে এই ৩ ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেন এমন কোন কাজ করেনি তারা। কোন ইউনিয়নবাসী যদি আমাদের বিরুদ্ধে এমন কিছু অভিযোগ করে থাকে সেই অভিযোগ মিথ্যা।