এম, শামসুল আলম।
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ
চৈত্রের রাত্রী শেষে যখন- সূর্য্য আসে নতুন বেসে,
সেই সূর্য্যের রঙ্গীন আলোয়- ধুয়ে মুছে যায় দুঃখ ভেঁসে!
দেশ এবং প্রবাস যে যেখানেই বাঙ্গালী জাতী আছেন; সবাইকে দেশের এককোটি আশিলক্ষ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পক্ষ হতে- বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ সালের পহেলা বৈশাখের শুভকামনা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায়।
আজ (১৪’ই এপ্রিল ২০২৩ইং) শুক্রবার, পহেলা বৈশাখ।
পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী জাতীর সম্প্রীতির দিন!
বাঙ্গালী জাতীর মহামিলনের দিন!
এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙ্গালী জাতী জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব-অঙ্গীকারে! সারাবছরের দুঃখ-কষ্টে ভরা ভারাক্রান্ত ভগ্ন হৃদয়ের সকল মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে সবাইকে আজ নব-আনন্দে জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান জানাই!
“মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী জাতীর চিরায়ত ঐতিহ্য!
মোগল সম্রাট আকবর ‘ফসলী সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন; তা সময়ের পরিক্রমায় আজ সমগ্র বাঙ্গালী জাতীর কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙ্গালী জাতীর আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে এর উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে! পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙ্গালী তার মুখয়বে ইমেজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়! বৈশাখ আমাদের নিয়ে যায় অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়নে; ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ে! পহেলা বৈশাখ নতুন ভাবনা, নতুন এক মাত্রা নিয়ে আসে আমাদের মাঝে! বিগত বছরের গ্লানী, পুরাতন স্মৃতি বিজড়িত মূহুর্তে, শত কষ্টে দুঃখ-বেদনায় বয়ে যাওয়া অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাবো- এবারের নববর্ষে!
এই হোক আমাদের প্রত্যাশা!
বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকুক; এবং বাহিয্যিক ও প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে থাকুক একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয়’ সেদিকে খেয়াল রেখে, পবিত্র রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে!
নতুন আশা, নতুন প্রাণ, নতুন হাসি, নতুন গান, নতুন সকাল, নতুন আলো, নতুন দিন হোক ভালো!
সকল কিছু ভুলে গিয়ে নতুনকে জানাই সু-স্বাগত!!