ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ইসলামপুরের সংকরপুর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সুন্দরী বেগম ও তার মেয়ে সুমি খাতুনকে বেধরক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আলামিন গংদের বিরুদ্ধে ।গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আলামিন(২৫) , রাসেল (২০), মনি (২২), নতু (৫৫), রাশেদা (৪৫) ইসলামপুর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাজেদুর রহমান নির্যাতিত নারী সুন্দরী ও সুমির অভিযোগের বর্ণনা শুনে এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত অভিযোগটি গ্রহন করেন এবং আইনি সেবাদানের আশ্বাস দেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইসলামপুর থানার ওসি মাজেদুর রহমান এসআই মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে আসামীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে এসআই মোঃ দেলোয়ার হোসেন গতকাল শনিবার রাতে সংকরপুর আসামীদের নিজ বাড়ী থেকে আসামী নতু ও আসামী রাসেলকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, হত দরিদ্র নারী সুন্দরী (৪৫) ও তার মেয়ে সুমি (১৮) কে সন্ত্রাসী কায়দায় বেধড়ক মারধর এবং বাড়ী ঘর ভাংচুর করে সুন্দরী ও সুমিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিলাফুলা জখম করে।
সুন্দরী বেগমের লোকজন ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে আইনের সহযোগিতা চাইলে ইসলামপুর থানার এসআই মোঃ আকরাম হোসেন সুন্দরী বেগমের বাড়িতে যান এবং আহত সুন্দরী ও সুমীকে ইসলামপুর উপজেলা হাসপাতেল ভর্তি হয়ে সু- চিকিৎসা নেওয়ার পরমর্শ দেয়।এ নির্যাতনের ঘটনার খবর পেয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার পরিচালক কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাধারন সম্পাদক জামালপুর জেলা কমিটি মোঃ মিজানুর রহমান পারভেজ, মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে ০৫ জনের একটি টীম গঠন করে সুন্দরী ও সুমীকে ইসলামপুর উপজেলা হাসপাতালে দেখতে যান এবং সুন্দরীর সাক্ষাৎকার নেয়।
সুন্দরী বেগম জানান, আসামি পক্ষে লোকজন আসামি গ্রেপ্তারের পর হইতে আমাদেরকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকী দিচ্ছে । এ প্রেক্ষিতে নির্যাতিত সুন্দরী ও সুমি এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভোগিতেছে।