এম, শামসুল আলম,
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলাধীন মান্দা উপজেলায় (তানোর উপজেলার শেষ প্রান্তে) সীমান্তবর্তী চৌবাড়িয়া বাজারে অবস্থিত "ফারিয়া ক্লিনিক এণ্ড মেডিকেল" নামক একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসূতির ভুল অপারেশন করার বিষয়টি বুঝতে পেরে রোগীর স্বজনদের দ্রুত প্রসূতিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দিয়ে ভর্তি করার জন্য পরামর্শ দিয়ে ক্লিনিক হতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু প্রসূতিকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তার মাঝেই পেটে থাকা নবজাতক সহ প্রসূতির মৃত্যু হয়।
এঘটনায় রোগীর স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। উঠেছে ক্লিনিক মালিক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দ্বাবীর পাশাপাশী ক্লিনিকটি সীল গালা করে দেওয়ার।
জানা গেছে; মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউপির চৌবাড়িয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ের প্রসব ব্যথা উঠলে দ্রুত নেয়া হয় চৌবাড়িয়া ফারিয়া ক্লিনিক এণ্ড মেডিকেলে। সেখানে ডাক্তার দ্রুত অপারেশনের জন্য প্রসূতিকে ওটিতে নিয়ে যায়। প্রায় ঘন্টা খানিক সময় পরে ওটি থেকে ডাক্তার বেরিয়ে এসে রোগীর স্বজনদেরকে বলেন; রোগীর বড় সমস্যা, এখানে সিজার করা যাবেনা, তাড়াতাড়ি রাজশাহী মেডিকেলে নিতে হবে রোগীকে। এমনকি রোগীর স্বজনদের চেয়ে ডাক্তাররাই তাড়াহুড়ো করে রোগীকে এ্যাম্বুলেন্স (মাইক্রবাস) করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ প্রসূতির স্বজনদের। তবে ফারিয়া ক্লিনিকের মালিক ফারুক হোসেনের দাবি; ভুল অপারেশন না, রক্ত কম হওয়ায় ও প্রসূতি দুর্বলের জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে চৌবাড়িয়া বাজারের একাধিকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন; শরিফুল ও রমজান আলী)
চৌবাড়িয়া বাজারে অবস্থিত এই ফারিয়া ক্লিনিক এণ্ড মেডিকেলে মাঝে মধ্যেই শোনা যায় প্রসুতির সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে ভুল করছেন ডাক্তার, এতে মারাও গেছে অনেক রোগী।
আবার ক্লিনিক কৃর্তপক্ষরাই রোগীকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে পাঠিয়ে দেন।
তবে এতে করে রোগী মারা গেলে নাম হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের।
এসকল অপকর্ম লুকিয়ে করতেই এসব ক্লিনিক গড়ে তোলেন প্রভাবশালী বৃত্তবানরা। এসব ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বর্তমানে লাশ পোষ্টমর্টেম করার জন্য রাজশাহী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান; এই ঘটনাটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছে, বিষয়টি মান্দা থানায় হওয়ায়- মান্দা থানা পুলিশ দেখবেন। বিষয়টি নিয়ে মান্দা থানায় যোগাযোগ করা হলে- সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কারো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।।