সাভার প্রতিনিধিঃ
আশুলিয়ায় ডি ইপিজেড ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ড্রেনের নীর্মাণ কাজে ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতি ও পুরনো লোহার রড,পাইপ,ইলেকট্রিক তার, বৈদ্যুতিক খুঁটি টিএন্ড টির তার সহ সরকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে (গত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি সংবাদকর্মীদের বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৫ শত থেকে ৭ শত কেজি ওজন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি লোহার পাইপ হাসেম প্লাজার সামনে থেকে চুরি করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোন এক ভাঙ্গারীর দোকানে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে কিছু সংবাদকর্মী উক্ত পাইপ বহনকারী কাভার্ড ভ্যানের পিছু নিলে দেখতে পান।
প্রথমে লোহার পাইপটি আশুলিয়ার বলিভদ্র বাজার আনোয়ার হোসেন মন্জুর বাগানবাড়ীর পাশে একটি ভাঙ্গারীর দোকানে নিয়ে যায়।
সেখানে সঠিক দাম না পাওয়ায় পাইপটি বাইপাইল এলাহী কমিউনিটি সেন্টারের পিছনে রুবেল নামের এক ব্যাক্তির ভাঙ্গারীর গোডাউন ঘরে নিয়ে বিক্রি করেন।
এসম বেশ কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক থাকলেও তাৎক্ষনিক সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে ক্যামেরা দেখে দুইজন শ্রমিক ব্যাতিত সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উপস্থিত ওই দুজন শ্রমিককে পাইপটি রাতের আধরে লুকিয়ে বিক্রি করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা আলমগীর ও শ্রমিক সরদার হাবিব তাদের কে বিক্রি করতে পাঠিয়েছেন বলে জানান।
তারা আরও বলেন মোঃ আমিনুল ইসলাম সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ তাদেরকে সকল পুরাতন মালামাল বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।
এসময় আলমগীর ও হাবিবের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনাস্থলে আসার কথা বললেও আর আসেনি, পরে উভয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। গভীর রাত হওয়ায় সংবাদকর্মীরা বিষয়টি আশুলিয়া থানায় অবগত করে ঘটনা স্থল থেকে চলে আসলে,
পরদিন অভিযুক্তরা প্রশাসনিক ঝামেলা এরাতে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে বলেন ৭০০ কেজি ওজনের পাইটি কোন সরকারি মাল নয়। এটা বিল বোর্ডের পাইপ বলে জানান।
অন্যদিকে ঘটনার পরে পাইপটির আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে উক্ত ঘটনার কয়েক দিন পূর্বে বেশ কয়েকজন শ্রমিককে সরকারি মালামাল বিক্রির দায়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ জরিমানা করেছে বলেও জানা যায়।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মুলহোতা আলমগীর সবসময় ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকছেন বলে অভিযোগ অনেকের। তবে দিকাদার আলমগীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে আমিনুল ইসলাম সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।
তবে এমন লুকোচুরি পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।