জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চরশী মুন্সিপাড়া এলাকায় দুই'শ পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া এলাকার আনিসুর রহমান ওরফে বেলাল নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে৷ আনিসুর রহমান
বেলাল বলেন,চরশী মুন্সিপাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিনদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধে এই রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে,মিমাংসা নাহলে এই রাস্তা বন্ধই থাকবে। এ ছড়া বিকল্প রাস্তা খুলে দেয়ার কথা জানান তিনি। গতকাল বুধবার সকালে তিতপল্লা ইউনিয়নের চরশী মুন্সিপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গেল এই চিত্র দেখাগেছে। এলাকাবাসিরা জানান, ৫০বছর আগের নির্মিত এই রাস্তা দিয়ে কেন্দুয়া ইউনিয়নের সোনাকাতা ও কোনাপাড়া এলাকাসহ তিতপল্লা ইউনিয়নের চরশী মুন্সিপাড়া গ্রামের প্রায় দুই'শ পরিবারের লোকজন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। এখন এই রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় তাদের সবার প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। তারা অতি জুরুরী ভিত্তিতে রাস্তা খুলে দেয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্টদের কাছে। এ ব্যাপারে চরশী মুন্সিপাড়া এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক সিদ্দিকুর রহমান ভুঁইয়া বলেন,ইউনিয়নের কামালখান বাজার থেকে কেন্দুয়া বাজার পর্যন্ত একটি পাকা রাস্তা রয়েছে। সেই অংশের কোনাপাড়া জামে মসজিদ থেকে প্রায় ১কিলোমিটার দৈর্ঘের একটি সড়ক পূর্ব দিকে বলেশ্বর নদীতে গিয়ে শেষ হয়েছে। এখানকার লোকজন কেন্দুয়া বাজার এবং কামালখান বাজারসহ শহরে যাতায়াতের জন্য এই সড়কটির খুব দরকার। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য এবং কৃষি পণ্য বজনে এ সড়কই একমাত্র ভরসা। তিনিও এই সড়কের প্রতিবন্ধকতা খুলে দেয়ার জন্য দাবি জানান। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া কোনাপাড়া এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান ওরফে বেলাল বলেন, চরশী মুন্সিপাড়া এলাকার ছেকান্দর আলীর কাছে আমার বাবায় আজ থেকে ত্রিশবছর আগে ১৫ শতাংশ জমি কেনা বাবদ দশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। অদ্যবধি পর্যন্ত ওই জমি কওলা দেননি আমাদের। এখন আমার বাবও মারা গেছে ছেকান্দর আলীও মারা গেছেন। তিনি বলেন,ছেকান্দর আলীর পুত্র আলাল উদ্দিনসহ তার ওয়ারিশগণ ওই জমি আমাদের কওলা দেয়ার মালিক কিন্তু তারা দিচ্ছেন, উল্টো আমাদের হুমকী দেন তারা, এই জন্যা রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে, আমাদের বাহীর বাড়ী( বাইডেক) দিয়ে যাতায়াতের জন্য সাময়ীকের জন্য রাস্তা করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগি আলাল উদ্দিন বলেন,আমার বাবা ছেকান্দর আলী মারা গেছে ২০০ সালে,জমি বেঁচে থাকলে ওই সময় কওলা নিতে পারত। এ ছাড়া হাবিবুর রহমান মারা গেছে ২০১৯ সালে, এতোদিন ওরা কিকরলো। তারা এই জন্য দুই'শ পরিবারের লোকদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করতে পারেনা। তিনি রাস্তা খুলে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান সোহেলের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টির অবগত হয়ে রাস্তা খুলে দেয়ার জন্য বেলালকে বলেছি। এখন পর্যন্ত রাস্তাটি খুলে না দেয়া হয়ে থাকলে আমি ঢাকায় আছি,ওখান থেকে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।