Thursday, 21 September 2023

শেরপুরের শীবর্দী আ'লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু অংশীদারকে পথে বসানোর অভিযোগ

শেরপুরের শীবর্দী আ'লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু অংশীদারকে পথে বসানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে তার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার সংখ্যালঘু হিন্দু জয়ন্ত কুমার দত্ত পিন্টুর পরিবারকে পুরোপুরি পথে বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম লিটন ৩৫ বছরেরও বেশি সময়ের ব্যবসায়িক অংশীদার জয়ন্ত কুমার দত্ত পিন্টু। তাঁরা যৌথভাবে পেট্রোল পাম্প, ইটের ভাটা, বিসিআইসি ডিলারশিপ ও জমি কেনাবেচার ব্যবসায় পরিচালনা করতেন। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু নিজ নামে চালাচ্ছেন আর যেগুলো পারেননি সেগুলো হুমকি ধামকি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী পিন্টু জানান, পেট্রোল পাম্পটি যৌথ মালিকানায় যদিও লাইসেন্স মোতাহারুল ইসলাম লিটনের নামে আর পাম্পটিতে দুজনের সমান সমান জমি।  ব্যবসাটি এখন লিটন একাই পরিচালনা করছেন। গত সাড়ে তিন বছর ধরে পিন্টু দত্তকে কোনো লভ্যাংশ দূরে থাক, হিসাবও দিচ্ছেন না। 

নিজের নামে করা বিসিআইসি ডিলারশিপটা মোতাহারুলই পরিচালনা করছেন, একক ব্যবসা হিসেবে। 

ইট ভাটার লাইসেন্স জয়ন্ত কুমার দত্ত পিন্টুর নামে। সমস্ত হিসাবপত্র, পরিবেশ ছাড়পত্র থেকে জমি সবই তাঁর নামে। কিন্তু নির্যাতন আর হুমকি ধামকি দিয়ে গত সাড়ে তিন বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছেন মোতাহার হোসেন। এখনও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পিন্টু দত্তকে ভাটা পরিচালনা করতে দিচ্ছেন না। 

বাকি রইলো জমি। লিটন ও পিন্টু নিজ নিজ নামে তাঁতিহাটি মৌজায় কেনা ৯ একর করে ১৮ একর জমি লিটন লিজ দিয়ে রেখেছেন, লিজ যারা নিয়েছেন তারা সেখানে চাষ করে খাচ্ছেন, কিন্তু পিন্টু কোনো আর্থিক সুবিধাভোগী হচ্ছেন না।

এভাবেই আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়ে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জয়ন্ত দত্ত পিন্টু পরিবারের ব্যয়নির্বাহ ও সন্তানের পড়াশোনার খরচ মেটাতে অসহায় অবস্থায় পড়ে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 

স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত তাঁর সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা পাননি আজীবন আওয়ামী রাজনীতির সাথে অঙ্গাঙ্গী সম্পর্কিত পিন্টু দত্ত। পরিবারের ব্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন পিন্টু দ্রুত একটি সুরাহা চান।

এ ব্যাপারে মোতাহারুল ইসলাম  লিটনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।