Thursday, 29 August 2024

স্বৈরাচারের কালো প্রভাব কাটছেনা বিএডিসির সেই মোস্তাফিজুর রহমান বহাল তবিয়তে

 

স্বৈরাচারের কালো প্রভাব কাটছেনা বিএডিসির সেই মোস্তাফিজুর রহমান বহাল তবিয়তে

                JNEWS24TV.COM

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের  মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও হাসিনা সরকারের মদদ পুষ্ট দূর্নীতিবাজ সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো: মোস্তাফিজুর রহমান এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। 
সরকার বদলের সাথে সাথে এখন নিজেকে বিএনপির লোক বলে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে। এতে কাজে লাগাচ্ছে বর্তমানে তার ডানহাত হয়ে উঠা আরেক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরকে।জানা যায় বিএনপি ঘরনার কর্মকর্তা এই হুমায়ূন কবির এর আগে উপ পরিচালক (আলুবীজ)হিসেবে কাশিমপুর,গাজীপুরে থাকা অবস্থায় অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।

পরবর্তীতে উপপরিচালক (রপ্তানি) হিসেবে সবজি ও মৎস হিমাগার,এয়ার পোর্টে কাজ করার সময় নামকরা মেজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযানে নানা রকম অনিয়ম ও দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হোন, যা হতে পরবর্তীতে তৎকালীন বিএডিসির কর্তৃপক্ষের 'সুনজরের' ফলে রক্ষা পান। এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে স্বৈরাচারী সরকারের মদদ পুষ্ট সদস্য পরিচালক (বীজ) এর সাথে আঁতাত করে গত ৮ আগস্ট এক অফিস আদেশে একটি প্রকল্পের পরিচালক পদ বাগিয়ে নেন।

এমডি (সীড) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী ঘরনার কর্মকর্তাদের নিয়ে এক দূর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। প্রমোশন,পদায়ন বানিজ্য ছাড়াও বীজ আমদানিতে নিজের পছন্দের পার্টিকে ব্যবহার, বীজ ক্রয়-বিক্রয়ে অনিয়ম, কমিশনের বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেয়া, জুনিয়র কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানাভাবে ব্লাকমেইল করে আর্থিক সুবিধা নেয়া, তার কথামতো কাজ না করলে হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি নানা স্বৈরাচারী সিস্টেম ব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছেন বিএডিসি বীজ উইংয়ের ত্রাস। 

অনেক কর্মকর্তাকে একাধিকবার বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি করে আর্থিক সুবিধা নেন, এমনকি ঘুষ নিয়েও আবার হেনস্থা করেন। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন অফিস পরিদর্শনে গেলে অবৈধ আর্থিক সুবিধা না দিলে সেই কর্মকর্তাকে নানা নিয়মের বেড়াজালে ফেলে শোকজ, ট্রান্সফার ইত্যাদির সাথেও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ আছে।

বি‌ভিন্ন প‌ত্রিকায় তার দুর্নী‌তির বিষ‌য়ে বহুবার রি‌পোর্ট হ‌লেও বিগত স্বৈরাচারী সরকা‌রের মদদপুষ্ট হওয়ায় তার বিরু‌দ্ধে কোন ব‌্যবস্থা নেয়া হয়‌নি। প্রমোশন,পদায়নের ক্ষেত্রে অসাধু কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ভালো জায়গায় পদায়ন করেন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কর্মকর্তাদের যেতে বাধ্য করতেন, না গেলে হয়রানি। নিজের সরাসরি অধিস্তনদের পদোন্নতি রূদ্ধ করে নিজেকে এমডি পদের একমাত্র দাবিদার বানিয়ে বিভিন্ন লবিং ও টাকার বিনিময়ে চাকরি শেষ হ‌ওয়ার পর পুনরায় ১ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করেন।

সাধারণ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ এখন স্বৈরাচারমুক্ত। বিএডিসি কে স্বৈরাচারমুক্ত করতে হাসিনা সরকারের মদদ পুষ্ট দূর্নীতিবাজ সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো: মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করে বিএডিসি কে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি সাধারণ ছাত্রজনতার।

Wednesday, 28 August 2024

সোনার বাংলার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ ইউএনও'র

 

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে 

সোনার বাংলার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে  শোকজ ইউএনও'র

                     JNEWS24TV.COM

জামালপুর প্রতিনিধিঃ বিপুল মিয়া

জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের পাবই সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসিকে কারন দর্শানোর নোটবশ ( শোকজ) দিয়েছে ইউএনও। প্রধান শিক্ষককের বিভিন্ন অনিয়মে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)জিন্নাত শহীদ পিংকি মঙ্গলবার বিকেলে এ আদেশ দেন।

প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি তার পদত্যাগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে  বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছিল শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীদের  বিক্ষোভ করার পরিস্থিতি টেরপেয়ে প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি'র পক্ষ থেকে  সেনা সদস্যদের খবর দেয়া হয়।পরে সেনা সদস্যরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে উপস্থিত হয়।পরে সেনা সদস্যদের উপস্থিতেই বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।বিক্ষোভ কালে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসির পদত্যাগ চান।তিনি পদত্যাগ না করলে  লাগাতার কর্মসুচি করতে থাকেন ছাত্ররা।পরে মঙ্গলবারর বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দেন।

এ ব্যাপারে জামালপুর সদর ইউএনও জিন্নাত শহীদ পিংকি  বলেন,ছাত্রদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি'র স্হলা ভিত্তিতে ওই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক বুধবার (২৮ আগষ্ট)থেকে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ওই প্রধান শিক্ষককে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে  ৩ সদস্যরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট তার বিরুদ্ধে আসলে ওই শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Monday, 26 August 2024

গণস্বাস্থ্যের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার-প্রতিবাদে মানববন্ধন

 

গণস্বাস্থ্যের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার-প্রতিবাদে মানববন্ধন

আশুলিয়া(সাভার)প্রতিনিধি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও এর কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে  মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধনে অংশ নেয় ছাত্র-জনতা সহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন,আমি গত ২ তারিখে সাভার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে আহত হয়। আহত অবস্থায় আমি এখানে ভর্তি হই এবং চিকিৎসা নিই। আমার নিকট থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার বিল নেন নাই, আমি সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসা পেয়েছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহন কারী মোঃ রনি নামে এক ছাত্র বলেন আমরা একটি খবর পায় অত্র হাসপাতালে নাকি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা বেশ কয়েকজন ছাত্র আসি বিষয়টি জানার জন্য। কিন্তু এসে দেখে এখানে অনেক আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে, আমরা যে খবরটি পেয়েছিলাম তা আসলে ভিত্তিহীন ছিলো।

মানববন্ধনে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মাহাবুব জোবায়ের সোহাগ বলেন,
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে কিছু মানুষ অপপ্রচার করছে যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নাকি কোন সেবা প্রদান করা হয় নাই, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন । এটা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য কলংকে কালিমা একে দেওয়ার মত ।

এসময় তিনি বলেন, এটা হতেই পারে না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই আহতদের সেবায় কর্মরত সকল ডাক্তার নার্স নিয়োজিত ছিল।এমনকি আমাদের এই সেবা চলমান রয়েছে । 
আমরা প্রায় আড়াইশত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণদের  সেবা প্রদান করেছি। আন্দোলনে যেসকল আহত ছাত্র ছাত্রীদের চিকিৎসা করা হয় তার কোন অর্থ নেওয়া হয় নাই। আমাদের সেবায় এবং আমাদের টাকায় চিকিৎসা করা হয়েছে।এই ক্ষেত্রে আমাদের আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে।এটা আমাদের বলা ঠিক না,তারপরও আমরা অনুমান করে বলছি। অন্য  প্রতিষ্ঠান হলে শূন্য একটি যোগ করে এক কোটি টাকা হিসাব দেখাত।আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে ছিলাম আছি থাকবো । যারা আজকে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের প্রতি একটাই কথা বলতে চাই।অপপ্রচার সব সময় অপপ্রচার, মিথ্যা সব সময় মিথ্যা, যতদিন প্রমাণিত না হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রহমান শাহজাহান বলেন,এখানে আমাদের সমবেত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে যে আমরা কোটাবিরোধী যে আন্দোলনরত যে সমস্ত রোগী ও ছাত্রছাত্রী সহ যারা এসেছেন যে অবস্থায় এসেছে,তাদের চিকিৎসার ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি কুচুক্রি মহল বলতে চাচ্ছে যে এখানে কোন চিকিৎসা হয় নাই, চিকিৎসায় বাধা প্রদান করেছি, আমরা বলতে চাচ্ছি এখানে রোগী সহ আরো  অনেক উপস্থিত আছেন।তাদের লিস্ট আছে, প্রত্যেক রোগীর ফলোআপ আছে, তারা কি অবস্থায় আছে কয়জন মারা গেছে, কয়জন রেফার করা হয়েছে,সব লিস্ট আছে।

কোটা বিরোধী আন্দলনরত যারা এখানে এসেছেন,সবাইকে সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদান করেছি এবং এই চিকিৎসা চলমান রয়েছে। ফ্রি চিকিৎসায় কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয় নাই।

Monday, 12 August 2024

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফজলুল করিম পরিবারের শোকের মাতম চলছে।

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফজলুল করিম পরিবারের শোকের মাতম চলছে।

JNEWS24TV.COM

জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামিল আহমেদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে  নিহত হন ফজলুল করিম (২৫) গত সোমবার (৫আগস্ট)  ঢাকা উত্তরা জসিম উদ্দিন রোডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন ফজলুল করিম। বিকাল ৪ টার দিকে ঢাকা উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা গণভবনের দিকে রওনা হলে, বৈষম্য বিরোধী   আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।

এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়, পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি বর্ষণ করেন। পুলিশের গুলিতে অনেক ছাত্র-জনতা গুরুতর আহত হয়। এসময় ফজলুল করিমের বুকে গুলি লাগে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে তাকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী  সরকারি হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই বিকেলে কুয়েত বাংলাদেশ  মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন । নিহত  ফজলুল করিম জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের টাংগারী পাড়া  গ্রামের শাহা আলমের ছেলে।

ফজলুল করিমের  মৃত্যুর খবর বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়নের টাংগারী পাড়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে , তার নিজ বাড়ি ও এলাকায় শোকের মাতম শুরু হয়। ফজলুল করিমের স্ত্রী মোছাঃ লতা বেগম   জানান গত (৫) (আগস্ট সোমবার )সকালে বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকা উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আমার স্বামী ফজলুল করিম। গুলি তার পেটের এক পাশ দিয়ে সিদ্র হয়ে আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।  আমি আমার স্বামীর বিচার চাই । স্বামীকে হারিয়ে দুই বছরের এক ছেলে সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে  পড়েছেন হত দরিদ্র পরিবার টি ।একমাত্র উপার্জনের মানুষটি হারিয়ে পরিবারের শোকের মাতাল চলছে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ফজলুল করিম টঙ্গী বোর্ডবাজার এলাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন।

নারায়ণগঞ্জের সব থানার কার্যক্রম শুরু

  বিস্তারিতঃ JNEWS24TV.COM

নারায়ণগঞ্জের সব থানার কার্যক্রম শুরু

        JNEWS24TV.COM

স্টাফ রিপোর্টার :আলেয়া আক্তার লিজা

নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে সব ফাঁড়ির কার্যক্রমও আজকালের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

রোববার (১১ আগস্ট) বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে শুক্রবার ও শনিবার জেলার ৭টি থানা সচল করা হয় সেনাবাহিনীর পাহারায়।

এরই মধ্যে জেলার ৭টি থানায় বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং মানুষ নানা অভিযোগ নিয়ে থানায় আসতে শুরু করেছে। থানাগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরাও রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা শুক্রবার থেকে পুরোদমে সচল আছি। আমাদের এখানে মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসছে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সক্রিয় থাকবে।

নারায়ণগঞ্জ জাকির খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

 বিস্তারিতঃ JNEWS24TV.COM

নারায়ণগঞ্জ জাকির খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

         JNEWS24TV.COM

স্টাফ রিপোর্টার:আলেয়া আক্তার লিজা

জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নগরীর ডিআইটি এলাকা থেকে নেতাকর্মী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে আদালত চত্তরে গিয়ে জাকির খান মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দেয় । স্লোগানে মুখরিত হয়ে আদালতে সামনে রাস্তায়। এবং মিছিলটি শেষ করেন আদালত চত্বর হয়ে ডিআইটি এলাকায়।

মিছিল  শেষে ডিআইটি এলাকার প্রাঙ্গনে এসময় জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানায়, জাকির খান কারাগারে রয়েছে। এই সংকটময় সময়ে তাকে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রয়োজন। তাই এই সরকারের কাছে তার মুক্তির দাবি জানাতে নেতাকর্মী দলে দলে আদালতের সামনে চত্বরে বিক্ষোভ করছে।

প্রসঙ্গত, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে আজ জাকির খানকে আদালতে আনা হয়নি। আগামী ২৫ আগস্ট পরবর্তীদিন ধায্য করেছে আদালত।

২য় বারের মত স্বাধীনতা অর্জনের আত্মত্যাগী শহীদের ছাত্র/ছাত্রী প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া মাহফিল

বিস্তারিতঃ JNEWS24TV.COM


২য় বারের মত স্বাধীনতা অর্জনের আত্মত্যাগী শহীদের ছাত্র/ছাত্রী  প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া মাহফিল

                JNEWS24TV.COM

স্টাফ রিপোর্টার:আলেয়া আক্তার লিজা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত এবং এক মিনিটের নিরাপত্তা পালনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

১১ আগস্ট রবিবার সামাজিক সংগঠন রূপগঞ্জ একটি পরিবারের উদ্যোগে  উপজেলার সাওঘাট এলাকার জাপান-বাংলাদেশ আড়ৎ এ  অনুষ্ঠিত  হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক সংগঠন রূপগঞ্জ ওয়ান ফেমেলীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভুলতা ইউনিয়ন সমন্বয় তৈফিকুল আলম শিহাবসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

সভায় সেলিম প্রধান বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে ছাত্রসমাজ ও দেশের সাধারণ মানুষকে শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করেছে। তিনি আরও বলেন ছাত্র সমাজ আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ , এই ছাত্র সমাজের পাশে দেশ যেমন আছে, সাধারণ জনগণ এবং আমরাও তাদের পাশে আছি। তিনি আরো বলেন আমার কোন রাজনীতি দল নাই। রুপগঞ্জ আমার কাছে একটা পরিবারের মত তাই রূপগঞ্জের স্কুল ,কলেজ , মাদ্রাসায় যাতে দলীয় কোন কিছু না থাকে এই আহ্বান জানান সবাইকে।

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভুলতা ইউনিয়ন সমন্বয়কারী ছাত্র তৈফিকুল আলম শিহাব  বলেন, এখন থেকে ঘুষ, দূর্নীতি, অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করে ছাত্র সমাজ  ও জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিতে যেতে হবে।

পরে রূপগঞ্জে ওয়ান ফেমেলীর  উদ্যোগে  শহীদদের স্মরণে  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায়  মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে সকলের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

Friday, 2 August 2024

বিয়ের খবর পেয়ে বাড়িতে হাজির প্রেমিকা,বরযাত্রা ছেড়ে পালালো পুলিশ প্রেমিক

বিয়ের খবর পেয়ে বাড়িতে হাজির প্রেমিকা,বরযাত্রা ছেড়ে পালালো পুলিশ প্রেমিক

বিস্তারিত পড়ুন,JNEWS24TV.com

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর জেলা মেলান্দহ উপজেলায় পুলিশ প্রেমিকের বিয়ের আয়োজন সহ -সব কিছুই ঠিকঠাক,যাবে বরযাত্রা এ সময় প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয়েছে প্রেমিকা। এ সময় পুলিশ-প্রেমিক দৌড়ে বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় সবকিছু।বৃহস্পতিব ১০ টার দিকে ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সদস্য প্রেমিক ওই এলাকার আমির হামজার ছেলে রাসেল মাহমুদ। তিনি বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার পুলিশ লাইন্স এ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে‌। প্রেমিকা সুইটি আক্তারের বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায়।

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান করার খবর শুনে বিয়ে বাড়িতে গেলে দেখা যায়- প্রেমিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় পুলিশ সদস্য প্রেমিক রাসেল ও প্রেমিকা সুইটি আক্তারের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছে। প্রেমিক রাসেল যেদিকে যেতে চাচ্ছেন প্রেমিকাও সেদিকে যাচ্ছেন এবং বাধা দিচ্ছেন যেতে।

এবং প্রেমিকা বারবার বলছেন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করব। একপর্যায়ে প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনে প্রেমিকের বাড়ির ভিতরে ঢুকান। এসময় প্রেমিক কৌশলে বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ সদস্যের পরিবারের লোকজন প্রেমিকা সুইটি আক্তার কে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেবার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়,কয়েকদিন আগে গোপনে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদের বিয়ে ঠিক হয় মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার একটি মেয়ের সাথে। বিয়েতে ৮ লাখ টাকা যৌতুক ও ঠিকঠাক হয়। এরমধ্যে যৌতুকের কয়েক লাখ টাকা ছেলের বাবা আমির হামজার কাছে দিয়ে যায় মেয়ের বাবা।

গতকাল বুধবার রাসেলের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। আজ বৃহস্পতিবার বরযাত্রা নিয়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যেই প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা সুইটি আক্তার। এতেই বিয়ের সকল আয়োজন মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায়।

প্রেমিকা সুইটি আক্তার বলেন,প্রায় দেড় বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালীন জামালপুর শহরে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। আমার পরিবারের সবার সাথে কথা বলে পরিচিত হয়ে আসেন। আমিও তাদের পরিবারের সবার সাথেই মুঠোফোনে অনেকবার কথা বলেছি। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে রাসেল অনেক বার আমার সাথে দেখা করে। ওর সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত হয়েছে। রাসেল কাল রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমার বিয়ে ঠিক হইছে তুমি আমার বাড়িতে আসো। আর আজ আমি তার বাড়িতে আসলে সে পালিয়ে যায়। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।

এ বিষয়ে ছেলের বাবা আমির হামজা বলেন,জোর করেই আমাদের বাড়িতে উঠেছে এই মেয়ে। তার সাথে আমার ছেলের কোন প্রেমের সম্পর্ক নাই।

এবিষয়ে মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মদন সিং বলেন,আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ে এবং ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ছেলের পরিবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মেয়েকে আইনি সহায়তার জন্য থানায় যেতে বলা হয়েছে।

Thursday, 1 August 2024

নারায়ণগঞ্জের নারী সাংবাদিককে নির্যাতন করে ধর্ষণের চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জের নারী সাংবাদিককে নির্যাতন করে ধর্ষণের চেষ্টা

           JNEWS24TV.COM

স্টাফ রিপোর্টারঃ লিজা

নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থানা সাইনবোর্ড এলাকায় নারী সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এখনো কোন মামলা হয়নি এবং কেও আটক হয়নি।

অবরোধের সময় সংবাদ সংগ্ৰহ করতে গেলে শনিবার বিকেলে এক নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে আন্দোলনকারী বিএনপির লোকজন।এ সময় আন্দোলনকারীরা যে যার মতো করে এলোপাথাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করে,কেও কেও লাথি মারতে থাকে,কেও ঘোসি মারে , এবং জোর পূর্বক তার গায়ে বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকে। এসময় তার গালে আগুনের ছ্যাঁকাসহ শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন করা হয়।এ সময় তার সঙ্গে থাকা আইডি কার্ড,ওব্যাজ, মোবাইল ফোন, প্রয়োজনীয় জিনিস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় আন্দোলন কারীরা।

প্রকাশ্য দিবালোকে এঘটনা ঘটায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।জানা যায়, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডে সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিল লোকজন।

এই খবর পেয়ে ঐ নারী সাংবাদিক সহ তিন নারী সাংবাদিক সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্ৰহ করতে গেলে সেই সময় সে কোন সংবাদ সংগ্রহ করতে পারেনি, বরঞ্চ তিনি নিজেই সংবাদে শিরোনাম হয়ে গেলেন। আন্দোলনকারীরা তাকে কিল,ঘুসি,লাথিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করে।

এ সময় তার পরনে কাপড় টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে। স্যালোয়ার খুলে ফেলে এবং সেই সাথে তার গোপনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয় ।এ সময় তাকে চার দিক থেকে ঘিরে শ্লীলতাহানিসহ নানাভাবে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকে।

তিনি আরো জানান, এ সময় ঘটনা স্থলে জটলা দেখে আকাশ থেকে হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।ফের তারা একত্র হয়ে হেনস্তা করতে থাকে। ওই নারী সাংবাদিক আরও বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ইকবাল এসে বলে আমি তোকে পিছন থেকে ঘুসি মারলাম তুই দেখিসনি। তুই তোর ব্যাগ কেন ছারিসনি কেন।

এ সময় ওই নারী সাংবাদিক আরও জানান আন্দোলনে তার উপর হামলা কারীর মধ্যে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ইকবাল,ও মামুন মাহাম্মুদ এর লোক এবং রিয়াদ এর লোক ও টিপু এর লোক ছিল ঘটনা স্থলে। ওই নারী সাংবাদিক আরও জানান যে আমি তাদের কে একজন সংসদ কর্মী হিসেবে চিনি। তিনি আরও জানান এ সময় ঘটনা স্থলে। আমাকে যারা অমানুষিক নির্যাতন করেছে তারা কোন ছাত্র ছিল না। সেই খানে ছিল সব মধ্যে বয়স্ক লোক। এক পর্যায়ে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ইকবাল এই নারী সাংবাদিক এখন মারা যাবে, আর মারা গেলে আমরাই ঝামেলায় পড়ে যাব সবাই। তাই সেখান থেকে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং কাউন্সিলর ইকবাল তাকে একটি অটোতে তুলে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর দিকে পাঠিয়ে দেয়।ওই নারী সাংবাদিক আরও  বলেন ১৯৭১ সালের বর্বরতা কেউ হার মানায় এই ২০২৪সালের বর্বরতা।