Friday, 2 August 2024

বিয়ের খবর পেয়ে বাড়িতে হাজির প্রেমিকা,বরযাত্রা ছেড়ে পালালো পুলিশ প্রেমিক

বিয়ের খবর পেয়ে বাড়িতে হাজির প্রেমিকা,বরযাত্রা ছেড়ে পালালো পুলিশ প্রেমিক

বিস্তারিত পড়ুন,JNEWS24TV.com

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর জেলা মেলান্দহ উপজেলায় পুলিশ প্রেমিকের বিয়ের আয়োজন সহ -সব কিছুই ঠিকঠাক,যাবে বরযাত্রা এ সময় প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয়েছে প্রেমিকা। এ সময় পুলিশ-প্রেমিক দৌড়ে বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় সবকিছু।বৃহস্পতিব ১০ টার দিকে ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সদস্য প্রেমিক ওই এলাকার আমির হামজার ছেলে রাসেল মাহমুদ। তিনি বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার পুলিশ লাইন্স এ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে‌। প্রেমিকা সুইটি আক্তারের বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায়।

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান করার খবর শুনে বিয়ে বাড়িতে গেলে দেখা যায়- প্রেমিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় পুলিশ সদস্য প্রেমিক রাসেল ও প্রেমিকা সুইটি আক্তারের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছে। প্রেমিক রাসেল যেদিকে যেতে চাচ্ছেন প্রেমিকাও সেদিকে যাচ্ছেন এবং বাধা দিচ্ছেন যেতে।

এবং প্রেমিকা বারবার বলছেন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করব। একপর্যায়ে প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনে প্রেমিকের বাড়ির ভিতরে ঢুকান। এসময় প্রেমিক কৌশলে বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ সদস্যের পরিবারের লোকজন প্রেমিকা সুইটি আক্তার কে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেবার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়,কয়েকদিন আগে গোপনে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদের বিয়ে ঠিক হয় মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার একটি মেয়ের সাথে। বিয়েতে ৮ লাখ টাকা যৌতুক ও ঠিকঠাক হয়। এরমধ্যে যৌতুকের কয়েক লাখ টাকা ছেলের বাবা আমির হামজার কাছে দিয়ে যায় মেয়ের বাবা।

গতকাল বুধবার রাসেলের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। আজ বৃহস্পতিবার বরযাত্রা নিয়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যেই প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা সুইটি আক্তার। এতেই বিয়ের সকল আয়োজন মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায়।

প্রেমিকা সুইটি আক্তার বলেন,প্রায় দেড় বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালীন জামালপুর শহরে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। আমার পরিবারের সবার সাথে কথা বলে পরিচিত হয়ে আসেন। আমিও তাদের পরিবারের সবার সাথেই মুঠোফোনে অনেকবার কথা বলেছি। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে রাসেল অনেক বার আমার সাথে দেখা করে। ওর সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত হয়েছে। রাসেল কাল রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমার বিয়ে ঠিক হইছে তুমি আমার বাড়িতে আসো। আর আজ আমি তার বাড়িতে আসলে সে পালিয়ে যায়। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।

এ বিষয়ে ছেলের বাবা আমির হামজা বলেন,জোর করেই আমাদের বাড়িতে উঠেছে এই মেয়ে। তার সাথে আমার ছেলের কোন প্রেমের সম্পর্ক নাই।

এবিষয়ে মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মদন সিং বলেন,আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ে এবং ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ছেলের পরিবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মেয়েকে আইনি সহায়তার জন্য থানায় যেতে বলা হয়েছে।