শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের উত্তর সারমারা গ্রামের এক বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে ১০ গ্রামের মানুষ। ফলে সেই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জিঞ্জিরাম নদী পারাপারের সময় প্রতিবছর একাধিকবার দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়ন ভৌগলিকভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। প্রায় ২শত বছর আগে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ হয়ে জিঞ্জিরাম নদী বাংলাদেশের বগারচর ইউনিয়ন হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিশে যায়।
বর্তমানে নদীটি প্রায় মরা নদীতে পরিণত হয়েছে । কমে গেছে গভীরতা। বছরের ৯ মাস জিঞ্জিরাম নদীতে পানি থাকে। বছরে শোকনা থাকে ৩ মাস। নদীর তলদেশে বছরে একবার চাষাবাদ হয়।
জিঞ্জিরাম নদী বগারচর ইউনিয়নের মানচিত্রকে দ্বি-খণ্ডিত করেছে। এই নদীর দুই পাশে বগারচর ইউনিয়নের রামরামপুর, পেরিরচর ও উত্তর সারমারাসহ গড়ে উঠেছে ১০টি গ্রাম। গ্রাম গুলোতে প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দুই পাড়ের গ্রাম গুলোতে কমপক্ষে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নদীর দুই পাড়েই এলজিইডির কাচা সড়ক রয়েছে। তাই প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থীকে জিঞ্জিরাম নদী পারাপার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষাকালসহ বছরের ৯ মাস শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। এ কারণে বিগত কয়েক বছরে অনেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সেই দাবি পূরণ হয়নি। তাই এলাকাবাসী উত্তর সারমারা গ্রামে জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। পার্টিশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে মাত্র একটি বাঁশ। এ ব্যাপারে বগারচর ইউনিয়নের স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, ‘জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রশাসনিক ভাবে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিদর্শন, মাপজোক ও প্রাক বাজেটও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। সেখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ হলে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা হবে।’
মোঃ সোহেল রানা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
০১৭২০০৩০৫৯০