Thursday, 23 January 2025

শেরপুর কুলুরচরে বালু খেকো আ.লীগের দোসর আলমগীরের অবৈধ বালু ব্যবসা রমরমা

                       শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

শেরপুর কুলুরচরে বালু খেকো আ.লীগের দোসর আলমগীরের অবৈধ বালু ব্যবসা রমরমা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নূর মোহাম্মদ 

ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। বালু উত্তোলন করতে হলে সরকার স্বীকৃত নির্ধারিত বালু মহাল থেকে তা উত্তোলন করতে হয়। শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের কুলুরচর গ্রামে বালু খেকো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত নেতার ভাইরা ভাই আলমগীরের প্রভাব এখনো কমেনি চলছে অবৈধ বালু ব্যবসা রমরমা।ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনা বিদায় নিলেও তার দল আ.লীগ"কে সহায়তাকারী দোসর আলমগীর বাহিনী এখনো রাজত্ব করে যাচ্ছে।এরই অংশ হিসেবে আ.লীগের দোসর আলমগীর বাহিনী চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের কুলুরচর গ্রামের অসহায় কৃষকদের জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে  জোরপূর্বক ভাবে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ বালু ব্যবসা। তার এই অবৈধ বালু ব্যবসা পরিচালনা করায় বিপাকে পরেছেন কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের কুলুরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশ দিয়ে রাস্তা তৈরী করে চালিয়ে যাচ্ছেন বালু ব্যবসা।এতে করে ব্যহত হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম। অপরদিকে কুলুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীমানা ঘেঁষে প্রতিনিয়ত ভারি গাড়ি চলাচল করায় দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে প্রান ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী আসেন না স্কুলে। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্যে চক্রটি তাদের অবৈধ বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এসব দেখার মতো কেউ নেই।তাদের এই অবৈধ বালু ব্যবসায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম সহ এলাকাবাসীর স্বাভাবিক কার্যক্রম। কমিউনিটি ক্লিনিকের সদস্য জয়বানু বেগম যানান, তাদের এই অবৈধ বালু ব্যাবসা বন্ধে আমরা কয়েকবার বললেও তারা কোন কর্নপাত করেনি। এখন তাদের এই বালু ব্যাবসা আরো প্রসার করায়  বিপাকে পরেছি আমরা। সৌকত গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  ম্যানেজিং কমিটির সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য আব্দুর রশিদ যানান,স্কুলের সামনে দিয়ে গাড়ী চলাচল করায় দুর্ঘটনার ভয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তান কে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে স্কুলে না আসা ছাত্র/ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি/সভাপতির স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা রেহেনা বেগম স্কুলটিকে গোয়ালঘরে পরিনত করেছে।এবিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে কৃষক উহাজ আলী জানান,এই বালুর ব্যবসার কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত অবহেলিত হয়েছিলাম। কিন্তু আ.লীগ সরকার পতনের পরও ঐ গ্রুপটি আরো সক্রিয় হয়ে পরায় আমাদের আবদা ফসলের ভোগান্তি আরো বেড়েছে। আমরা এলাকাবাসী অবৈধ এই বালু ব্যবসা বন্ধে শেরপুর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী আলমগীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করছি। বিশ্বাস না হলে প্রশাসনকে কল দিয়ে শুনুন। উপজেলার সহকারী কমিশন (ভূমি) ইশতিয়াক মজনুন ইশতি মুঠোফোনে যানান, আমি এবিষয়ে কিছু জানিনা আপনার মাধ্যমে শুনলাম। যদি কেহ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।