শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা বাজারের মের্সাস হুমায়ুন কবির ট্রেডার্সে ইউরিয়া ও বি এডিসি সার বেশিদামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।
তার দোকানে গিয়ে দেখা যায় বিসিআইসি ডিলার হুমায়ুন কবির নিজের ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করছে সার। জামালপুর সদর উপজেলার ৯ নং রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা বাজারে ইউরিয়া (গুড়াশাল) সারের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। বিএডিসি (ডিএপি) সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ হুমায়ুন কবির ট্রেডার্সে ১৪'শ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে সাধারণ কৃষকরা বেশিদামে সার ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জানাযায়, ডিলারের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এসব ইউরিয়া সার নিয়ে বিক্রি করছে ৩০ টাকা কেজি দরে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা কৃষকের ওপর এভাবে চেপে বসেছে বলে মনে করছেন কৃষকরা। কেনার সময় কৃষকরা রশিদ চাইলে তাদের কাছে সার বিক্রি করা হচ্ছে না বলে জানান সাধারণ ভুক্তভোগী কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারের কোনো সংকট নেই। তারপরেও এভাবে বাড়তি দামে সার বিক্রি করে যাচ্ছে মের্সাস হুমায়ুন কবির ট্রেডার্সের মালিক নিজেয়।
কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যানুসারে, জামালপুর সদর উপজেলায় বিসিআইসির ২৭ থেকে ৩০ টি ডিলার রয়েছে ও বিএডিসি ১০ থেকে ১৫ টি ডিলার রয়েছে। এ ছাড়া খুচরা ব্যবসায়ী রয়েছে অনেক জন। সরকারি নির্দেশনা রয়েছে, কৃষকের কাছে ২৭ টাকা কেজি দরে ১৩৫০ টাকায় ৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া ও বিএডিসি ২১ টাকা কেজি ১০৫০ টাকায় এক বস্তা সার বিক্রি করতে হবে। খুচরা বিক্রেতারা ডিলারদের কাছ থেকে ১৩৩০ টাকা বস্তা দরে ইউরিয়া সার কিনতে পারবেন। কিন্তু সরকারি এসব নিয়মের ধার ধারছেন না. মেসার্স হুমায়ুন কবির ট্রেডার্সে মালিক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির।
পলাশতলার কৃষক রাজু মিয়া, চকবেলতৈল গ্রামের সজিব মিয়া ও একাধিক কৃষক জানান, তাদেরকে খুচরা ২৯-৩০ টাকা কেজি দরে সার কিনতে হচ্ছে। আর বস্তায় দিতে হচ্ছে কমপক্ষে ১৪০০ টাকা। এ ছাড়া দোকান থেকে কোনো ক্যাশমেমো দেওয়া হয় না।
জামালপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, সারের কোথাও কোনো সংকট নেই। কেউ যদি বেশি দামে সার বিক্রি করে কৃষকের অভিযোগ পেলে ডিলার কিংবা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
