Friday, 12 May 2023

রাজশাহীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী'র নামের জমিতে বাড়ী নির্মাণ কাজে বাঁধার অভিযোগ, সুরাহা হয়নি এখনওঃ

রাজশাহীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী'র নামের জমিতে বাড়ী নির্মাণ কাজে বাঁধার অভিযোগ, সুরাহা হয়নি এখনওঃ

এম, শামসুল আলম।
(রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি)

রাজশাহীতে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জমিতে নির্মানকৃত বাড়ীর কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে নগরের জিন্নানগর ঈদগাহ কমিটির কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

গত রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে; জিন্নানগর ১৬ নং ওয়ার্ডের জৈনেক মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সাদরুল আমিনের স্ত্রীর নামে থাকা ২ কাঠা জমি ঈদগাহর নামে জোর করে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে ঈদগাহ কমিটির বিরুদ্ধে। ঈদগাহর বাউন্ডারি দিয়ে জনসাধারণের চলা-চলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন ঈদগাহ কমিটির কিছু দুর্বৃত্ত অতি উৎসাহি ব্যক্তিরা।

গত রোববার ওই জমিতে শিরিন বেগমের পক্ষে বাড়ী নির্মানের কাজ করার আদালতের আদেশ থাকলেও ঈদগাহ কমিটির কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি কাজে বাঁধা দেয় এবং মিস্ত্রিদের সাথে অসাদাচারণ করে তাদেরকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভিতি দেখিয়ে সেখানে কাজ না করতে বাধ্য করে তারা।

গত রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তার সুরাহা হয়নি এখনও।

ভুক্তভোগি শিরিন বেগম বলেন; জিন্নানগর ঈদগাহর নাম করে কিছু ভূমিদস্যু আমার ওই জমি জবর দখল করার পায়তারা করছেন। ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকতের নেতৃত্বে ওই জমিটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও তারা কাজে বাঁধা দিচ্ছেন ও আমাকেসহ আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক বাঁধা প্রদাণ করে চলেছেন।

এ বিষয় জিন্নানগর ঈদগাহ কমিটির কাছে জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে-  সাংবাদিকদেরকে তারা ওই জমি শিরিন বেগম ঈদগাহতে দান করেছেন বলে দ্বাবী করেন।

তাদের দ্বাবীকৃত তথ্যের সত্যতা দেখতে চাইলে তারা এমন কোন কাগজ দেখাতে পারেনি।

এবং আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জমিতে নির্মানকৃত বাড়ীর কাজে বাঁধা প্রদান করছে ঈদগাহ কমিটির কিছু ব্যক্তি।

উল্লেখিত; রাজশাহী নগরীর জিন্নানগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সাদরুল আমিনের নামে থাকা দুই কাঁঠা জমি তার স্ত্রী শিরিন বেগমের নামে গত ৯ জুন ২০১১ সালে রেজিস্ট্রি করে দেন। যার দলিল নং ১০৪০৪। হেবাবিল এওয়াজ করেন। পরে বোয়ালিয়া থানা ভূমি অফিসের কেস নং-১৮২/১১-১২ মূলে খারিজ করেন শিরিন বেগম এবং ১৪২৯ বঙ্গবাদ পর্যন্ত খাঁজনা পরিশোধ করে জমি ভোগ দখল করে আসছেন দ্বীর্ঘদিন যাবত।

জিন্নানগর মৌজার, এস এ-৪ নং খতিয়ানের ২৯৬ নং দাগের সমান ৬ অংশের মালিক সেতার উদ্দিন সরকার। একি সম্পদের পরবর্তী আরএস রেকোর্ডে খতিয়ান নং ৪৮৭, দাগ নং ১১৪৪ তে মোট জমি ৫৪.৫১ শতক। যার এসএ রেকোর্ডিও মালিকগনের ওয়ারিশ ও মালিক সেতার উদ্দিন, আব্দুল মজিদের নামে রেকোর্ড হয়, যা তারা খাঁজনা-খারিজ ও ভূমি উন্নয়নের কর পরিশোধ করে জমির মালিক।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী বলেন; ঈদগাহ কমিটির লোকজনকে তাদের কাগজ পত্র নিয়ে থানায় ডেকে ছিলাম। তারা সঠিক কোন কাজগপত্র দেখাতে পারেনি। অথচ শিরিন বেগমের বাড়ী নির্মান কাজ করার জন্য আদালতের অনুমোতি রয়েছে।

এ বিষয় আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বাদীকে আশ্বাস প্রদান করেন।।