শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও এখনো পরিবর্তন হয়নি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের ধূসর ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের।
জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের ব্যাপক অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও নানা প্রকল্পে চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি নানা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু একাধিক তদন্ত দীর্ঘ দিনেও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে ভুক্তভোগীরা হতাশ।
আরো জানা যায়,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব খোযাড়-খেয়া ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, হাটবাজার, ১% খাতের নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন। অপরদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডপ্রতি সরকারি খরচ ১৫ টাকা থাকা সত্ত্বে দুবারে কয়েক হাজার হাজার কার্ডে এন্ট্রি বাবদ কয়েক শত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ অর্থ লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তিনি তার নিজ বাড়িতে বসে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং ভুয়া রেজুলেশন করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নবাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এমনকি একাধিকবার লাঞ্ছিত, অবরুদ্ধ ঘটনাও বাদ পড়েনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সরকারি অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন গ্রামে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ঘুস গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ একটি বাহিনী তৈরি করে ভিজিডি তালিকায় নাম উঠানোর কথা বলে অসহায় দুস্থদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুস গ্রহণ করছেন। বাদ পরেনি বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতাও।
এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।