Friday, 6 June 2025

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগের ধূসর এবং নারি কেলেঙ্কারি গ্রেফতারকৃত আসামি শ্যামল বাবু

শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগের ধূসর এবং নারি কেলেঙ্কারি গ্রেফতারকৃত আসামি শ্যামল বাবু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে ফ্যাসিস্ট সরকারের মদ পুস্ট দুর্গা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুবিধাভোগী ঠিকাদার সুযোগ সন্ধানী নারি কেলেঙ্কারির গ্রেফতারকৃত আসামি শ্যামল বাবু সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে রাতারাতি খোলস বদল করে হঠাৎ সাধু সেজে  বিএনপি'র ছত্রছায়ায় থেকে আবারও ফায়দা লোটার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

নারি কেলেঙ্কারি গ্রেফতারকৃত আসামি শ্যামল চন্দ্র সাহা জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জসহ এ জেলায় দুর্গায় এন্টারপ্রাইজ নামে বেনামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে। তার মধ্যে ঠিকাদারি ব্যবসা অন্যতম । পতিত  সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী ধূসর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদের একনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। এমপির মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে তিনি অনেক ব্যবসায়ী সুবিধা ভোগ করার নজির হয়েছে তার। সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ সঙ্গে ছিল দহরম মহরম সম্পর্ক। মাসোরা টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকতেন। শ্যামল বাবু মন্ত্রী বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের নদীর মাছ বিভিন্ন ধরনের সিজনাল ফল কাজের ছেলে মেয়েদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকতেন। শ্যামল বাবু মন্ত্রী সাথে কথা বলতেন সব নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে দীর্ঘসময় মিটিংয়ে বসতেন ।  শ্যামল বাবু  প্রভাবশালী ব্যক্তি  ছিলেন যিনি মন্ত্রীর সাথে কথা বলতে গেলে সেখানে কোন নেতা কর্মী প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল । এই শ্যামল বাবু মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে ছিল আসমানের চাঁদ দিল্লিকা লাড্ডু। এই সুবাদে মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে এক চাটিয়া তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা সহ বিভিন্ন ডিলারশিপ একাই বানিয়ে নিয়েছেন। তাই তিনি বিগত সরকারের আমলে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন যেন কেউ দেখার নেই। ঠিকাদারী কাজে চরম দুর্নীতি অব্যাহত রাখলেও প্রতিবাদ করার মত সাহস ছিল না কারো।

আরো জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে শ্যামল চন্দ্র সাহা একটি ভাসমান পতিতা সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং কি বিভিন্ন পত্রিকায় এর নিউজ প্রকাশ হয়েছিল। এই নারি কেলেঙ্কারি গ্রেফতারকৃত আসামি আওয়ামী লীগের ধূসর এখনো করে যাচ্ছেন তার ঠিকাদারি ব্যবসা।

গত ৫ ই আগস্ট এর পর ফ্যাসিস্ট সরকারের  পতনের পর শ্যামল  বাবুর রাতারাতি পালা বদল  ঘটে।বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী সহ বিএনপি'র অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ছাত্রদল যুবদল নেতাকর্মীদের নিয়ে তার বাগানবাড়িতে খাওয়া-দাওয়া অর্থ লেনদেনসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে মুগ্ধ করে নিজের করে রেখেছেন। বর্তমানে তিনি বিএন পি নেতাকর্মীসহ সাবেক  এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত সাহেবের কাছে যাইতে বিভিন্ন তদবির শুরু করেছেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের পেটুয়া বাহিনী সুবিধাভোগী শ্যামল বাবুর ফেসির সরকারের ধূসর হিসাবে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ এলাকার ভুক্তভোগী নেতাকর্মীদের নজরদারি দাবী জানাচ্ছি।