শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে JNEWS24TV.COM
জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহে সরকারি চাল মজুদের মাধ্যমে বস্তা পরিবর্তন করে পুষ্টি দিয়ে মেসার্স কনক অটো রাইচ মিলের বিরুদ্ধে খাদ্য গুদাম সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে । এ ছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে সরকারি চাল রাইচ মিলে নিয়ে প্যাকেট পরিবর্তন করে মেশিনের মাধ্যমে চিকন চালে রূপ দিয়ে শেরপুর, কুষ্টিয়া, জামালপুর,সিলেট, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন রাইচ মিলে সরবরাহ করে আসছেন বলেও জানা যায় । এ নিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের নিকট আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার নাংলার বাগুরপাড়া চিনিতলা রোড এলাকার কনক অটো রাইচ মিল (লাইসেন্স নাম্বার ৩৯-৬১-১-০৯৬-০০০০৪ পুরোন লাইসেন্স নম্বর: ৩৬৮/জামালপুর) এর স্বত্তাধিকারী জহুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি কালোবাজারীর চাল খাদ্য গুদামে বিক্রি করে আসছে। আর এ চাল গুলো তিনি মেলান্দহ উপজেলা সহ পার্শবর্তী উপজেলা মাদারগঞ্জ ও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাল কালোবাজারীদের থেকে সরকারি চাল ক্রয় করে তার রাইচ মিলেই মজুদ করে আসছে। পরে সেখানে তার শ্রমিকদের মাধ্যমে বস্তা পরিবর্তন করে চালে পুষ্টি মিশিয়ে সেই মজুদ করা সরকারী চাল গুলো আবার সরকারি খাদ্য গুদামে বিক্রি করছেন । পাশাপাশি কুষ্টিয়া ও শেরপুরেও বিক্রি করে আসছে । আর এ চালের ট্রাক গুলো ৩/৪ হাজার টাকার মাধ্যমে পাস করে দিচ্ছে সাংবাদিক পরিচয়ে একটি চক্র৷ এদিকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহার চাল, টিসিবির চাল, হতদরিদ্রদের কাছ থেকে ১০ টাকার চাল দ্বিগুণ দামে কিনে আবার সরকারি খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে তৎপর হয়ে থাকতেন জহুরুল। কয়েক হাত বদল হয়ে সরকারের চাল সরকারি খাদ্য গুদামেই বিক্রির মাধ্যমে এর আগেও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে কনক রাইচ মিলের মালিক জহুরুল ইসলাম। সরকারিভাবে চাল গুলো ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও সরকারি চাল কেনাবেচা বেআইনি এবং শাস্তিমূলক অপরাধ। এই ধরনের কাজের জন্য শাস্তির বিধান থাকলেও উপজেলায় নজরদারী ও তদারকির অভাবে গরীবের চাল যায় রাইচ মিলে । খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বা অন্য কোনো সরকারি প্রকল্পের আওতায় চাল হত দরিদ্র, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের কথা থাকলেও কেনাবেচা হয় এই চাল । যার ফলে অভাবী মানুষের খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে, তেমনি সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দেয়।
অভিযোগ রয়েছে, মেলান্দহ খাদ্য গুদামের কর্মকর্তারা দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
এ বিষয়ে মেসার্স কনক রাইচ মিলের স্বত্তাধিকারী জহুরুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সরকারী চাল কেনা বেচা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
অন্যদিকে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আলমগীর বুধবার দুপুর ১২ টায় জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। তবে যেহেতু আপনারা জানিয়েছেন, তদন্ত করে যাচাই বাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।