Saturday, 30 November 2024

সাতকানিয়ায় পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে সরকারী রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি

                        শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

সাতকানিয়ায় পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে সরকারী রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এঁওচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলী আলী নগরে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আকমল মিয়ার ছেলে মিন্টু সওদাগর,সোনামিয়ার ছেলে হাশেম সওদাগর ও হাশেম সওদাগরের স্ত্রী তচলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে।পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাতকানিয়া থানার অফিসার ইঞ্চার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন একই এলাকার আলি আহমদের ছেলে আব্দুল হামিদ ও আমিরুজ্জামানের ছেলে আব্দুল হাকিম।

সরেজমিন গিয়ে  ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৮ বৎসর পূর্বে  যৌথভাবে বাড়ীর পানি চলাচলের জন্য বাড়ীর সামনে রাস্তার মাটির নীচ দিয়া পানি চলাচলের জন্য ড্রেইন নির্মাণ করা হয়।ড্রেইন দ্বারা ০৬ পরিবারের বাড়ীর পানি চলাচল করত। বিগত ০৬ মাস পূর্বে একই এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে  মোঃ কায়সার (২৯), চান মিয়ার ছেলে আহামদ কবির (৫০) ও আবদুল হাকিম তাদের বাড়ীর পানি চলাচলের জন্য অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে পানি চলাচলের ড্রেইনে সংযোগ দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পানি চলাচলের ড্রেইনের মধ্যে কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নাই। তারপরও অভিযুক্তরা উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে ড্রেইনের সংযোগ দিতে অভিযোগকারীদেরকে বাধা প্রদান করে ।

অতঃপর অভিযোগকারীরা স্থানীয় চেয়ারম্যন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিকট বিচার দেয়। এর প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করিয়া দেয়। এর ০১ সপ্তাহ পর অভিযুক্তরা জোরপূর্বক ড্রেইনটি বন্দ করে দেওয়ার কারণে অভিযোগকারী ০৬ পরিবারের বাড়ীর পানি চলাচল বন্ধ হইয়া যায় এবং পানি চলাচলের ড্রেইনের পানি শহীদ জামাল সড়কের উপর দিয়া চলাচল করিতেছে । যাহার ফলে জনসাধারনে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ রাস্তাটির মধ্যে গর্ত হইয়া গিয়েছে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগকারীরা বিষয়টি বার বার সমাধান করার চেষ্টা করিলেও অভিযুক্তরা অভিযোগকারীদের কাহারো কথা মান্য করিতেছেনা এবং অভিযোগকারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিয়া আসছে বলে জানা যায়। অভিযোগকারীরা ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় আইনী প্রতিকার পাওয়ার লক্ষ্যে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাতকানিয়া থানার অফিসার ইঞ্চার্জ বরাবর  অভিযোগ দায়ের করেন ।

উল্লেখ্য এর আগেও বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন গিয়ে ড্রেন নির্মাণের কথা বলিলে এবং কাজ শুরু করিলে তচলিমা আক্তার গালিগালাজ করে কাজের লোকজনকে বাঁধা দেয় এবং কাজের সরঞ্জামাধী নিয়ে যায় বলে জানা যায়।

এব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল হাশেমের কাছে জানতে চাইলে পানি চলাচলের ড্রেইন বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন এটি উনার খতিয়ানভুক্ত জায়গা বিধায় বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান।

এব্যাপারে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল খানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি আভিযোগের আলোকে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Wednesday, 27 November 2024

ইসলামপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা

                                শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

ইসলামপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুরের ইসলামপুরে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলা হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহকারি কমিশনার ভূমি সাদিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএএম আবু তাহের, জেলা বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন সরকার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব, পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ঢালী, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা আমির সুলতান মাহমুদ সিরাজী, নিহত লিটনের পিতা আব্দুস সবুর মন্ডল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক জিহাদি হাসান খান নাবিল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলার সাধারণ ছাত্র সাব্বির খান লোহানী, আরো অনেকে। 

এ সময় ইসলামপুর উপজেলার আহত ৬ পরিবার ও নিহত ১ পরিবারের মধ্যে ৪০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। 

স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

Sunday, 24 November 2024

মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত৷

                        শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত৷

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মাজেদুল ইসলাম

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের শিহাটা গ্রামের এক নারীর কাছ থেকে ধার নেয়া ৮ লাখ টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো ওই নারীর বাড়ি-ঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মো: কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী রুমি বেগম ২৩ নভেম্বর দুপুরে শিহাটা গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী রুমি বেগম সংবাদ সম্মেলনে মো: কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের শিহাটা গামের প্রতিবেশী মো: কামরুজ্জামান ব্যবসায়িক লভ্যাংশ দেওয়ার চুক্তিতে তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ধার নেন। ওই দিন উভয়পক্ষের কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ৩শত টাকা মূল্যমানের তিনটি স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দলিলে স্বাক্ষরও করেন। স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে টাকা ধার নেয়ার দুই মাস পর হিসাব চাইতে গেলে ব্যবসায়িক লভ্যাংশের টাকা না  দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন কামরুজ্জামান। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা শালিস বৈঠক হলেও তিনি লভ্যাংশ ও ৮ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করেন।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৪মে মো: কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নেয়া আদালত মেলান্দহে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা  দায়েরের পর প্রভাবশালী মো: কামরুজ্জামান   আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে মামলার বাদিনী রুমী  বেগমকে মামলা প্রত্যাহার ও তার কাছে আরো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। রুমি বেগম মামলা প্রত্যাহার ও তার দাবীকৃত টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলাসহ অগ্নিসংযোগ করে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। হুমকির ঘটনায়  কামরুজ্জামানের  বিরুদ্ধে গত ২১ নভেম্বর মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুমি বেগম।

তিনি আরও বলেন, প্রভাবশালী কামরুজ্জামানের হুমকিতে আামি প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আমার টাকাগুলো ফেরৎ পেতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সহায়তা কামনা করছি। একই সাথে আমাকে হুমকিদাতা মো: কামরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রুমি বেগমের স্বজন ও প্রতিবেশী সোহরাব আলী, মো ফরিদ, কামরুল, মো. মজনু ও চাঁন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে ৭জনকে স্থান দেওয়ার প্রতিবাদে ইসলামপুরে সংবাদ সম্মেলন

                         শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে ৭জনকে স্থান দেওয়ার প্রতিবাদে ইসলামপুরে সংবাদ সম্মেলন

ইসলামপুর প্রতিনিধিঃ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা কমিটিতে অচেনাদের স্থান দেওয়ার প্রতিবাদে ইসলামপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (২৪নভেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর প্রেসক্লাব হলরুমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ ছাত্র জনতার ব্যানারে আয়োজিত সম্মেলন কমিটিতে ৭জন প্রতিনিধির মধ্যে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ও জাতীয় পার্টির দোসরদের রাখার প্রতিবাদ জানান তারা।

ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী সাব্বির খান লোহানী বলেন, ২২ নভেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কমিটিতে ইসলামপুর উপজেলার ৭জন প্রতিনিধি নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাদের বিগত জুলাই/আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তাদের কোন অস্তিত্ব ও ভূমিকা ছিল না।

সাধারণ শিক্ষার্থী মোঃ শরীফ সরকার বলেন, জিহাদি হাসান নাবিল খান, সিদ্দিকুর রহমান মিসবাহ, তৌহিদুর রহমান জিসানসহ বাকিদের তারা চিনেন না। তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসর বলে জানান তারা। তারা জেলা কমিটি থেকে ওই ৭জনকে অপসারণের দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ সাঈম খান, মোঃ রেদুওয়ান হোসেন সিয়াম, সানজিদা জাহান রিফা, মাহি আক্তার, মাসুম খান, মীমসহ আরো অনেকে।

আকাশমনি কাঠের গোলাই সহ ৩ টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর জব্দ

                         শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

আকাশমনি কাঠের গোলাই সহ ৩ টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর বন বিভাগে ৩ টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর সহ আকাশমনি গাছের প্রায় ৫ শতাধিক গোলাই জব্দ করেছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) শেরপুর - জামালপুর প্রধান সড়কের শাহাপুর এলাকা থেকে রাত সাড়ে ১২ টায় জব্দ করা হয়েছে । জব্দকৃত ৩ টি গাড়ীসহ আকাশমনি কাঠের গোলাই গুলো জামালপুর জেলা বন বিভাগের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রবিবার দুপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কোন তথ্য প্রদান ও বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি জেলা বন বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আব্দুর রাজ্জাক  ।   

জানা যায়, শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯.৩০ ৩০ মিনিটের সময় জামালপুর শহর দিয়ে মধুপুরের দোখলা থেকে ৩ টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টরে আকাশ মনির কাঠের গোলা গুলা মাদারগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক ও স্থানীয়রা ড্রাইভারকে কাগজ পত্রের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা সিও অনুমতি দেখায়। সিও করা কাগজটির বিষয়ে টাঙ্গাইল বন বিভাগের কর্মকর্তা ড.আবু নাসের মোহসিন হোসেনকে অবগত করলে তিনি গাড়ী গুলোর বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের কর্মকর্তাকে অবগত করার জন্য পরমর্শ দেন৷ পরে বন বিভাগের কর্মকর্তা রাতেই জামালপুর বন বিভাগের বিএম (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী) জিয়াউল হককে পাঠিয়ে ৩ টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর উদ্ধার করে নিয়ে যায়।  

কথা হলে দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরেষ্টার মোঃ হামিদুল ইসলাম জানান, সিও দিয়ে জামালপুর জেলায় আকাশমনি গোলাই নিয়ে যেতে পারে না।  তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। মধুপুর বন বিভাগের লর্ট এলাকা থেকে কুড়ালিয়া বাজার পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেটা জামালপুর কিভাবে গেল আমার জানা নেই৷  

কথা হলে ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব)  আব্দুর রাজ্জাক মুঠোফোনে জানান,  গোলাই গুলো জব্দ  ও মামলা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  


মোঃ সোহেল রানা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

০১৭২০০৩০৫৯০

Saturday, 23 November 2024

শুক্রবার ২২/১১/২৪ তারিখ শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৩ ঘটিকায় রিমি নামে একটি মেয়ে, মৃধাপাড়া ডালের মিল জামালপুর এলাকা থেকে হারিয়ে গিয়েছে। রিমির বয়স ১১ বছর। সে হেদায়তিয়া মহিলা মাদ্রাসা বকুল তলা, জামালপুর এ ৫ ম শ্রেণীতে পড়ে।কোন সুহৃদবান ব্যক্তি মেয়েটির কোন সন্ধান পেলে নিন্মলিখিত ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো। হাবিব, মৃধাপাড়া ডালের মিল, জামালপুর যোগাযোগঃ ০১৭২০২৩৬২০৪

             শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

শুক্রবার ২২/১১/২৪ তারিখ শুক্রবার বিকেল  আনুমানিক ৩ ঘটিকায়   রিমি নামে একটি মেয়ে, মৃধাপাড়া ডালের মিল জামালপুর এলাকা থেকে হারিয়ে গিয়েছে।  রিমির বয়স ১১ বছর। সে হেদায়তিয়া মহিলা  মাদ্রাসা বকুল তলা, জামালপুর এ ৫ ম শ্রেণীতে পড়ে।কোন সুহৃদবান ব্যক্তি মেয়েটির কোন সন্ধান পেলে   নিন্মলিখিত ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য  বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো।  হাবিব,  মৃধাপাড়া ডালের মিল, জামালপুর  যোগাযোগঃ ০১৭২০২৩৬২০৪

শুক্রবার ২২/১১/২৪ তারিখ শুক্রবার বিকেল  আনুমানিক ৩ ঘটিকায়  
রিমি নামে একটি মেয়ে, মৃধাপাড়া ডালের মিল জামালপুর এলাকা থেকে হারিয়ে গিয়েছে।  রিমির বয়স ১১ বছর। সে হেদায়তিয়া মহিলা  মাদ্রাসা বকুল তলা, জামালপুর এ ৫ ম শ্রেণীতে পড়ে।কোন সুহৃদবান ব্যক্তি মেয়েটির কোন সন্ধান পেলে  
নিন্মলিখিত ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য  বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো। 
হাবিব, 
মৃধাপাড়া ডালের মিল, জামালপুর 
যোগাযোগঃ ০১৭২০২৩৬২০৪

Wednesday, 20 November 2024

বাঁসের সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ

                                       শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

বাঁসের সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের উত্তর সারমারা গ্রামের এক বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে ১০ গ্রামের মানুষ। ফলে সেই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জিঞ্জিরাম নদী পারাপারের সময় প্রতিবছর একাধিকবার দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়ন ভৌগলিকভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। প্রায় ২শত বছর আগে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ হয়ে জিঞ্জিরাম নদী বাংলাদেশের বগারচর ইউনিয়ন হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিশে যায়। 

বর্তমানে নদীটি প্রায় মরা নদীতে পরিণত হয়েছে কমে গেছে গভীরতা। বছরের মাস জিঞ্জিরাম নদীতে পানি থাকে। বছরে শোকনা থাকে মাস। নদীর তলদেশে বছরে একবার চাষাবাদ হয়।

জিঞ্জিরাম নদী বগারচর ইউনিয়নের মানচিত্রকে দ্বি-খণ্ডিত করেছে। এই নদীর দুই পাশে বগারচর ইউনিয়নের রামরামপুর, পেরিরচর উত্তর সারমারাসহ গড়ে উঠেছে ১০টি গ্রাম। গ্রাম গুলোতে প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দুই পাড়ের গ্রাম গুলোতে কমপক্ষে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

নদীর দুই পাড়েই এলজিইডির কাচা সড়ক রয়েছে। তাই প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থীকে জিঞ্জিরাম নদী পারাপার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষাকালসহ বছরের মাস শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। কারণে বিগত কয়েক বছরে অনেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সেই দাবি পূরণ হয়নি। তাই এলাকাবাসী উত্তর সারমারা গ্রামে জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। পার্টিশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে মাত্র একটি বাঁশ। ব্যাপারে বগারচর ইউনিয়নের স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, ‘জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রশাসনিক ভাবে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিদর্শন, মাপজোক প্রাক বাজেটও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। সেখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ হলে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা হবে।

মোঃ সোহেল রানা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

০১৭২০০৩০৫৯০

Monday, 18 November 2024

আমরা জনগণের ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই অধ্যাপক রেজাউল করিম

                                               শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

আমরা জনগণের ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই অধ্যাপক রেজাউল করিম

লিজা স্টাফ রিপোর্টারঃ

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোনারগাঁয়ে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে এ আয়োজন করা হয়।

জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

সভায় রেজাউল করিম বলেন,‘সোনারগাঁয়ে কেউ যদি বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, জোরজুলুম করতে চায়, আমাদের নেতাকর্মীদের অত্যাচার নির্যাতন করতে চায়, আমরা তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিবো। তবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর কেউ যদি একটা আঘাত করে তাঁকে আমরা শক্ত হাতে দমন করবো।’

তিনি আরও বলেন,আমরা জনগণের ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই জনগণের ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন জনগণের ভোট নিয়ে আবারও সংসদ সদস্য হয়ে সোনারগাঁবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি।’

এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মো. আবু জাফর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সচিব মো. মজিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, সোনারগাঁও পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তপন প্রমুখ।

Friday, 15 November 2024

শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ নান্দিনা শাখায় ২ সামষ্টিক বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ নান্দিনা শাখায় ২ সামষ্টিক বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

জামালপুর প্রতিনিধিঃ

জামালপুর সদর উপজেলার শাহিন স্কুল এন্ড কলেজ নান্দিনা শাখায় গতকাল ২য় সামষ্টিক মূল্যায়ন, বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়।

সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহিন শিক্ষা পরিবার এর নির্বাহী পরিচালক জনাব আনোয়ার হোসেন আসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নান্দিনা নেকজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম। 

সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহিন স্কুল এন্ড কলেজ জামালপুর শাখার নির্বাহী শাখা পরিচালক জনাব আকবর গফুর। 

সেই সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন নান্দিনা শাখার পরিচালক মোঃ জুয়েল রানা এবং মোঃ নাজমুল ইসলাম সহ উক্ত বিদ্যালয় এর অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলি ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ এবং অভিভাবকগণ। 

অনুষ্ঠানটিতে কোরআান তেলাওয়াত, গজল সেই সাথে নাচ ও সংগীত প্রতিযোগীতা এবং র‍্যাফেল ড্র এর আয়োজন করা হয়।

সেই সাথে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি। তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে  ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকগণ দের দৃষ্টি আকর্ষন করে শাহিন শিক্ষা পরিবার এর শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরন করার প্রতি তাগীদ দেন। এমনকি সেই সংগে ছাএ ছাএী দের ভবিষ্যতের কথা সামনে এনে তাদের ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক ও নৈতিক শিক্ষাদান  এর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইসলামপুরে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে জনসংলাপ ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

                                           শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে

ইসলামপুরে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে জনসংলাপ ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

শরিফ মিয়া জামালপুরঃ
 
জামালপুরের ইসলামপুরে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি এসবিসি প্রকল্পের উদ্যোগে সামাজিক আচরণ পরিবর্তন শিশু কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়নে স্থানীয় পর্যায়ে ইউপি সদস্য সমাজের সাধারণ মানুষদের নিয়ে জনসংলাপ পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের ইল্লামারী গ্রামের ইউপি সদস্য শিরিনা আক্তারের বাড়িতে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির বাস্তবায়নে ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় বক্তব্য রাখেন, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির উপজেলা সুপারভাইজার আমিনা আক্তার, চরদীঘাইর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ সানাউলাহ, ইল্লামারী বায়তুল জামে মসজিদের ইমাম মোঃ সোলাইমান, এসবিসি প্রকল্পের নারী নেত্রী মোছাঃ চায়নাসহ আরো অনেকে।
 
জনসংলাপ পরামর্শ সভায় সামাজিক আচরণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শিশু সহিংসতা বাল্যবিবাহ রোধসহ শিশু-কিশোরদের সার্বিক উন্নয়ন, শিশু টিকা, শিশু নির্যাতন বন্ধ, জন্ম নিবন্ধন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
 
এসবিসি প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম হচ্ছে যেমন, কিশোর-কিশোরী, মা দলের মিটিং, কমিউনিটি ডায়ালগ, কমিউনিটি ক্যাম্পেইন, কমিউনিটি মাইকিং, টি স্টল মিটিং, ইউনিয়ন অবহিতকরণ সভা, কমিউনিটি কনসাল্টেশন মিটিং, স্কুল সেশন, এসএমসি/শিক্ষক মিটিং, রিভিউ মিটিং ইত্যাদি। 
 
এসবিসি প্রকল্প দীর্ঘ দুই বছরে অভিভাবকদের সচেতনতা মূলক কার্যক্রম বোঝানোর মাধ্যমে ৬৯টি বাল্যবিবাহ রোধ করেছে বলে জানান।