Thursday, 22 May 2025

মেলান্দহ সরকারি কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ীর মূল নায়ক জহুরুল ইসলাম

শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

মেলান্দহ সরকারি কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ীর মূল নায়ক জহুরুল ইসলাম


জামালপুর প্রতিনিধিঃ

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় সরকারি চাউল কালোবাজারি ব্যবসা করে আসছেন একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে। যার মূল নায়ক হলেন সাবেক এমপি আওয়ামী লীগের ধূসর আলহাজ্ব মির্জা আজম এর কাছের লোক জহুরুল ইসলাম। এমন একটি অভিযোগ উঠেছে। 

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ হল, এমন কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ী যাতে ব্যবসা না করতে পারে এর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

জানা যায়,জহুরুল ইসলাম সাবেক এমপি আলহাজ্ব মির্জা আজমের কাছের লোক হয়ার মেলান্দহ উপজেলার খাদ্য বান্ধবের ডিলারদের কাছ থেকে সরকারি চাউল ক্রয় করে থাকেন। এবং কি মেলান্দহ উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি, চাউল ক্রয় করে থাকেন। এতে করে হতদরিদ্র মানুষগুলো পাচ্ছে না তাদের সঠিক মূল্য। 

নাম প্রকাশ না করার সত্যে কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এমন কিছু অ-সাধু-কালোবারি চাউল ব্যবসায়ীদের জন্য পাচ্ছিনা আমাদের কোন ন্যায্য মূল্য। আমরা ডিলারদের কাছে চাউল নিতে গেলে তারা বলেন চাউল শেষ হয়ে গেছে।পড়ে বিশিষ্ট কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের কাছে চাউল গুলো বিক্রি করে দেয় । সেই চাউল একটি গোডাউনে মজুদ করে পড়ে বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন কালোবাজারি মূল নায়ক জহুরুল ইসলাম।

আরো জানান, কালোবাজারি চাউল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম যদি চাউল গুলো ক্রয় না করতো তাহলে আমাদের ন্যায্য মূল্য আমরা পাইতাম। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অসহায় হতদরিদ্র ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাউল কালোবাজারে বিক্রি করা হয় এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি সততা যাচাই করে আমি অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিব। 

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনসার্জ  ( ওসি ) বলেন, আমি মেলান্দহ থানায় আসার পর এমন একটা অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি সততা যাচাই করে দেখব। যদি কোন সততা খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে আমি অবশ্যই জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা  নিব।

Monday, 19 May 2025

যুব সাংবাদিকদের নিয়ে ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী SRHR বিষয়ক প্রশিক্ষণ

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

যুব সাংবাদিকদের নিয়ে ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী SRHR  বিষয়ক প্রশিক্ষণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাকিব আহমেদ

যুব সাংবাদিকদের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরির দুই দিনব্যাপী ময়মনসিংহে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

দুই দিনব্যাপী ওই প্রশিক্ষণটি শনিবার(১৭ মে)শুরু হয়ে  সমাপনী রোববার (১৮ মে) ময়মনসিংহের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। ব্র্যাকের আয়োজনে ওই প্রশিক্ষণে অংশ নেয় যুব সাংবাদিকরা।প্রশিক্ষণটি ব্র্যাকের ‘অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্প’-এর আওতায় আয়োজিত হয়। 

প্রশিক্ষণে কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লেখার কৌশল সম্পর্কে বিশদ ধারণা দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণের প্রথম দিন প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহানাজ শারমিন এবং দ্বিতীয় দিন প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সহকারী প্রশিক্ষক মিনহাজ উদ্দিন নিপুন। কোর্স সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর মোঃ জিল্লুর রহমান, ময়মনসিংহের DYM নুসরাত জাহান ও জামালপুরের DYM কাকলি আক্তার।

প্রশিক্ষণে ময়মনসিংহ ও জামালপুরে কর্মরত সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।যেখানে নিজেদের অভিজ্ঞতা অর্জন ও সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কর্মশালা হয়।

কর্মশালায় জামালপুর থেকে অংশগ্রহণকারী হলেন দৈনিক আমার সংবাদ জামালপুর প্রতিনিধি বিপুল মিয়া, দৈনিক জামালপুর বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুল হাসান (রিয়াদ),দৈনিক বাংলাবাজার ও জে নিউজ ২৪টিভির স্টাফ রিপোর্টার সাকিব আহমেদ, দৈনিক তৃতীয় মাত্রার জামালপুর প্রতিনিধি তৌকির আহাম্মেদ হাসু, দৈনিক আনন্দবাজার জামালপুর প্রতিনিধি শাকিল হাসান, মুভি বাংলা টিভির জামালপুর প্রতিনিধি আল-আমিন, আজকের আরবান স্টাফ রিপোর্টার  খোরশেদ আলম, সাপ্তাহিক বার্তা বাজার স্টাফ রিপোর্টার আল বিল্লাল খান, লাখো কন্ঠ সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি স্বপন মাহমুদ, ঢাকা ক্যানভাস জামালপুর প্রতিনিধি ফারিয়াজ ফাহিম।

দুই দিনের এই প্রশিক্ষণ সম্পর্কে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর মো. জিল্লুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার (SRHR) সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা জরুরি। এর জন্য মূল শব্দাবলি, আইনি কাঠামো ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা জানা প্রয়োজন। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, গর্ভপাত ও কিশোর বয়সের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে রিপোর্ট করতে হলে নৈতিকতা, গোপনীয়তা ও সম্মান বজায় রাখা আবশ্যক। এই প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা এ সকল বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবে।

Thursday, 15 May 2025

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগের ধূসর দেওয়ানগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানের

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগের ধূসর দেওয়ানগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানের

দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও এখনো পরিবর্তন হয়নি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের ধূসর ৪ নং হাতীভাঙ্গা  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের।

জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের ব্যাপক অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও নানা প্রকল্পে চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি নানা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু একাধিক তদন্ত দীর্ঘ দিনেও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে ভুক্তভোগীরা হতাশ। 

আরো জানা যায়,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তার আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব খোযাড়-খেয়া ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, হাটবাজার, ১% খাতের নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করেন। অপরদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডপ্রতি সরকারি খরচ ১৫ টাকা থাকা সত্ত্বে দুবারে কয়েক হাজার হাজার কার্ডে এন্ট্রি বাবদ কয়েক শত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ অর্থ লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তিনি তার নিজ বাড়িতে বসে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং ভুয়া রেজুলেশন করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নবাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এমনকি একাধিকবার লাঞ্ছিত, অবরুদ্ধ ঘটনাও বাদ পড়েনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সরকারি অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন গ্রামে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ঘুস গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ একটি বাহিনী তৈরি করে ভিজিডি তালিকায় নাম উঠানোর কথা বলে অসহায় দুস্থদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুস গ্রহণ করছেন। বাদ পরেনি বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতাও। 

এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪নং হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে  যোগাযোগ করতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Wednesday, 14 May 2025

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগের ধূসর শ্যামল বাবুর

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আওয়ামী লীগের ধূসর শ্যামল বাবুর

জামালপুর প্রতিনিধিঃ

জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে ফ্যাসিস্ট সরকারের মদত পুস্ট দুর্গা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুবিধাভোগী ঠিকাদার সুযোগ সন্ধানী শ্যামল বাবু সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে রাতারাতি খোলস বদল করে হঠাৎ সাধু সেজে  বিএনপি'র ছত্রছায়ায় থেকে আবারও ফায়দা লোটার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

শ্যামল চন্দ্র সাহা জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জসহ এ জেলায় দুর্গায় এন্টারপ্রাইজ নামে বেনামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে। তার মধ্যে ঠিকাদারি ব্যবসা অন্যতম । পতিত  সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী দোষর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদের একনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। এমপির মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে তিনি অনেক ব্যবসায়ী সুবিধা ভোগ করার নজির হয়েছে তার। সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ সঙ্গে ছিল দহরম মহরম সম্পর্ক। মাসোরা টাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকতেন। শ্যামল বাবু মন্ত্রী বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের নদীর মাছ বিভিন্ন ধরনের সিজনাল ফল কাজের ছেলে মেয়েদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকতেন। শ্যামল বাবু মন্ত্রী সাথে কথা বলতেন সব নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে দীর্ঘসময় মিটিংয়ে বসতেন ।  শ্যামল বাবু  প্রভাবশালী ব্যক্তি  ছিলেন যিনি মন্ত্রীর সাথে কথা বলতে গেলে সেখানে কোন নেতা কর্মী প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল । এই শ্যামল বাবু মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে ছিল আসমানের চাঁদ দিল্লিকা লাড্ডু। এই সুবাদে মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে এক চাটিয়া তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা সহ বিভিন্ন ডিলারশিপ একাই বানিয়ে নিয়েছেন। তাই তিনি বিগত সরকারের আমলে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন যেন কেউ দেখার নেই। ঠিকাদারী কাজে চরম দুর্নীতি অব্যাহত রাখলেও প্রতিবাদ করার মত সাহস ছিল না কারো।

গত ৫ ই আগস্ট এর পর ফ্যাসিস্ট সরকারের  পতনের পর শ্যামল  বাবুর রাতারাতি পালা বদল  ঘটে।বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী সহ বিএনপি'র অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ছাত্রদল যুবদল নেতাকর্মীদের নিয়ে তার বাগানবাড়িতে খাওয়া-দাওয়া অর্থ লেনদেনসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে মুগ্ধ করে নিজের করে রেখেছেন। বর্তমানে তিনি বিএন পি নেতাকর্মীসহ সাবেক  এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত সাহেবের কাছে যাইতে বিভিন্ন তদবির শুরু করেছেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের পেটুয়া বাহিনী সুবিধাভোগী শ্যামল বাবুর ফেসির সরকারের ধূসর হিসাবে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ এলাকার ভুক্তভোগী নেতাকর্মীদের নজরদারি দাবী জানাচ্ছি।

Monday, 12 May 2025

বীজ আলুর দাম বৃদ্ধির দাবিতে চাষিদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

বীজ আলুর দাম বৃদ্ধির দাবিতে চাষিদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আলু চাষিরা আলুর বীজের মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার জামালপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ চাষি ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন মিলন, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান রুমেল, জেলা কৃষক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, আলু বীজ চাষি আবুল কালাম। 

মানববন্ধনে বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ চাষি ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) থেকে ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা দরে বীজ ক্রয় করেছিলাম। বীজ থেকে উৎপাদিত আলুর দর পেয়েছি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা কেজি। অথচ বাইরে বাজারে এই আলু বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। কিন্তু আমরা বিএডিসির সাথে চুক্তিবদ্ধ বলে বাইরে কোনো আলু বিক্রি করিনি। যার ফলশ্রুতিতে বিএডিসি ব্যাপক লাভবান হয়েছে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিএডিসি ভিত্তি বীজের দাম নিয়েছে ৬০/৬২ টাকা দরে। এত উচ্চমূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক, ব্যবহার করে বীজের উৎপাদন খরচ বেড়ে অঞ্চলভেদে দাঁড়িয়েছে ৩০/৩৫ টাকায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু কিছু জোন থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে উৎপাদন খরচ দেখিয়েছে, তা চাষিদের উৎপাদিত খরচের সাথে কোনো সামঞ্জস্য নেই। এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ উৎপাদন খরচ এবং খাবার আলুর নিম্নমুখী দর দেখে চলতি অর্থবছরে মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ২৬/২৮ টাকা। বিগত বছর ৪৮/৫৪ টাকা দরে ভিত্তি বীজ কিনে দর পেয়েছি প্রতি কেজি ৩৫/৩৭ টাকা। আর এ বছর ৬০/৬২ টাকা দরে ভিত্তি বীজ কিনে দর পেলাম ২৬/২৮ টাকা। এতে চুক্তিবদ্ধ চাষিগণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বিএডিসি আলু বীজের চুক্তিবদ্ধ চাষিদের উৎপাদন খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলু বীজের মূল্য গত অর্থবছরের চাইতেও এবার প্রতি কেজিতে আরো দুই টাকা বাড়িয়ে অথ্যাৎ ৩৭/৩৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান। দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুমকি দিয়েছে বীজ আলু চাষিরা।

Sunday, 11 May 2025

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপন ব্যালটে ৪৯৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে কমিটির সভাপতি পদে একজন, সাধারন সম্পাদক একজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছে এডভোকেট মনজুরুল কবির বাবুল খান সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান রতন। 

শনিবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপজেলা সদরের বালিজুড়ি ফাজিল মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে থাকেন। সকাল ১২ টায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট মনজুরুল কাদের বাবুল খানের সভাপতিত্বে সম্মেলটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এবং এ-সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির  জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। প্রমূখ

শুরুতেই ৭টি ইউনিয়নের সাংগঠনিক পতাকা উত্তেলনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর অতিথিদের বক্তব্যের পর গোপন ব্যলটে ভোট গ্রহণ চলতে থাকে।

দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। এর আগে কয়েক দিন ধরে দলীয় পদপ্রত্যাশীরা শহর ও গ্রামে মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণা চালান।

জানা গেছে, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন বিকেলে শুরু হয়। এ সময় ৪৯৫ জন ডেলিগেট (ভোটার বা কাউন্সিলর) ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মাদারগঞ্জ উপজেলা শাখা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাডভোকেট খয়রুল ইসলাম। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাদেকুর ইসলাম।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতার ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হবে। আগামী দিনে সদর উপজেলার প্রত্যেকটি মানুষের কাছে সেই ম্যাসেজ পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করবে মাদারগঞ্জ উপজেলার নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি অসাধারণ সম্পাদক।

Sunday, 4 May 2025

জামালপুরে ৪ দেহ ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

জামালপুরে মহিলা ৪ দেহ ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর জিগাতলা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩ এ মে) দুপুরে পুলিশের অভিযানে জামালপুর সদরের জিগাতলা এলাকার হাজী ফজলুল হকের দ্বিতীয় তলা একটি ফ্লাট থেকে মাদক সেবন করা অবস্থায় ৪ মহিলাকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর সদরের ১ নং ফাঁড়ির পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন, শেরপুর সদর ঘুঘুরাকান্দির চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আনসার সদস্য মোতালেব হোসেন বাচ্চুর স্ত্রী পাখি আক্তার  (৩০), জাওরাম এলাকার স্বর্ণা (২১), হাজিপুর এলাকার মডেলিং বৃষ্টি আক্তার (২২) ও বৃষ্টি আক্তারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী মাহি (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ও আনুমানিক ২ গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেটের পাউটারসহ উদ্ধার করা হয়। 

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জিগাতলা এলাকায় হাজী ফজলুল হকের বাসায় আনসার সদস্য মোতালেব হোসেন বাচ্চু ও তার স্ত্রী পাখি আক্তার তিন রুমের একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন এবং কি বিভিন্ন ধরনের মহিলা সংগ্রহ করে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা এবং কি মাদক সেবন করে থাকেন। জিগাতলা এলাকার লোকজনের মাদকের বিস্তার বৃদ্ধির অভিযোগ ছিল। পরে সাংবাদিকদের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবারে দুপুরে জামালপুর সদরের ১ নং ফাঁড়ির এস আই রাসেল মিয়ার সহযোগিতায় হাজী ফজলুল হকের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্লাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা ও আনুমানিক ২ গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেটের পাউটারসহ  ৪ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে জামালপুর ১ নং ফাঁড়ি (এসআই) রাসেল মিয়া বাদি হয়ে জামালপুর সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন।

জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল মোহাম্মদ আতিক বলেন, ১ নং ফাঁড়ি পুলিশের এস আই রাসেল মিয়ার সহায়তায় মাদকদ্রব্যসহ ৪ মহিলা মাদক ও দেহ ব্যবসায়ি কে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে থানায় মামলা হয়েছে। রবিবারে তাদের আদালতে পাঠানো হবে। এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Friday, 2 May 2025

মেলান্দহের ঘোষের পাড়ার পূর্ব ছবিলাপুর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার অবরুদ্ধ।। রাস্তার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

মেলান্দহের ঘোষের পাড়ার পূর্ব ছবিলাপুর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার অবরুদ্ধ।। রাস্তার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষের পাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ছবিলাপুর গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের হাজারও লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ফলে অবরুদ্ধ এলাকাবাসি রাস্তা নির্মাণের দাবিতে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে রাখে। ২মে/২৫ (শুক্রবার) দুপুরে পূর্ব ছবিলাপুর এলাকায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে করে রাখেন। ঐ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মজনু মিয়া, তারা মিয়া, খোরশেদ আলম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন মিলন বাজার রোড থেকে পশ্চিম দিকে মফিজ ব্যাপারীর বাড়ির নদীর পাড় পর্যন্ত দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই মাদারগঞ্জের যাতায়াতের জন্য রাস্তা ছিল। যে রাস্তায় গরু গাড়ি মহিষের গাড়ির সহ জামালপুর শহর থেকে শত শত গাড়ি যাতায়াত করত চলাচল করতো হাজারো জনতা। গত ১০-১৫ বছর পূর্বে এলাকার নুরুল ইসলাম নামে এক প্রভাবশালী  ব্যক্তি রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে।

এতে করে এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের হাজারও লোকজন বর্তমানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাই অবরুদ্ধ পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু চলাচলে রাস্তা খুলে দিতে আশ্বস্ত করা হলেও তা এখনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা অবরুদ্ধ রয়েছি।ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি এলাকা কতিপয় প্রভাবশালীরা চলাচলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের প্রায় এক কিলোমিটার পথ ঘুরে  আসা যাওয়া করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

শুক্রবার সরেজমিন উপস্থিত হয়ে জানাযায়, দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকে মফিজ বেপারীর বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা ছিল। সে রাস্তা দিয়ে জেলা ও উপজেলা শহর থেকে শুরু করে লোকজন এ রাস্তা দিয়ে গরু গাড়ি মহিষের গাড়ি বাইসাইকেলযোগে পথচারীরা মাদারগঞ্জে উপজেলায় যাতায়াত করত। বিগত ১০/১৫ বছর আগে, প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম তিনি র্দীঘ দিনের যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। 

এতে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের হাজারও নারী-পুরুষ ও বৃদ্ধ মানুষ সহ শিশুরা স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মসজিদ গোরস্থান এমনকি মিলন বাজারে যাতায়াত করতে প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আকন্দ, খাদেম আলী ও মিলনবাজারে দোকানদার কালু আকন্দ জানান রাস্তাটি স্বাধীনতার আগে থেকেই মাদারগঞ্জের একমাত্র রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। এ রাস্তা দিয়ে গরু গাড়ি মহিষের গাড়ি যাতায়াত সহ অত্র এলাকাবাসী চলাফেরা করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। ফলে এই বিশাল এলাকা বাসি রাস্তার অভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং কি দাবি জানিয়েছেন জরুরী ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের চলাচলে রাস্তাটি পুনরায় নির্মাণ করে যাতায়াতের উপযোগী করে দেয়া জন্য। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া বলেন, জমির মালিক যেই হোক না কেন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াটা চরম অন্যায়। রাস্তা বন্ধকারীদের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য বলা হলেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি।

এ ব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. আলমগীর বলেন এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।