Thursday, 31 July 2025

প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের ধূসর হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার?

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের ধূসর হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার?

নিজস্ব প্রতিবাদকঃ

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ১০ নং ঝাউগড়া ইউনিয়নের ফারুক আহমেদ চৌধুরীর কাছের ভাই ও অন্যতম ক্যাডার হলেন হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার। আওয়ামী লীগের ধূসর ফারুক আহমেদ চৌধুরীর নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ সকল প্রকার অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াতেন এই হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার।

তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে কিছুদিন পলাতক থেকে ফের ঝাউগড়া  প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ দাড়ি ধূসর হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার।

সচেতন মহল বলছে হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার কে আইন-শৃংখলাবাহিনী এখনই না রুখলে বড় ধরণের নাশকতা ও প্রানহানীসহ বিঘ্ন হবে শান্তি শৃংখলার।

জানাগেছে, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ চৌধুরী ও এলাকার অন্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার বিএনপি নেতাদের সাথে আতাত করে এলাকায় ফিরে ঘুরাফেরা করছে প্রকাশ্যেই। বিগত আওয়ামী লীগের  স্বৈরাচার সরকারের আমলে ঝাউগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্বশান্ত করে দিয়েছে অনেক পরিবারকে এই মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধূসর হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় ৪রে আগস্ট লোকজন নিয়ে পুরা ইউনিয়ন মহড়া দিয়েছেন এই ঝাউগড়া  ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেলান্দহ উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদার।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, আওয়ামী লীগের ধূসর হাসানুজ্জামান মন্টু তালুকদারকে যেন অতি তাড়াতাড়ি আইনের আওতায় আনা হয়।

Friday, 25 July 2025

মিথ্যা মামলা দিয়ে জোড়পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে জান্নাতুল ফেরদৌর বন্যার বিরুদ্ধে

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

মিথ্যা মামলা দিয়ে জোড়পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে  জান্নাতুল ফেরদৌর বন্যার বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জামালপুর পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ড শাহাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আন্জুর গলি নামে পরিচিত স্টেশন এলাকার  ব্যবসায়ী   জাহাঙ্গীরের  মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা ও তা মায়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ জোড়পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে৷ 

জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা  জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের  চিকিৎসক ইকরামুল  তালুকদার হিটলুর ছোট ভাই নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার স্ত্রী৷ 

স্বামীর ক্ষমতার দাপটে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন এই নারী ,ইতিমধ্যে অডেল  সম্পদের মালিক হয়েছেন, তুচ্ছতাছিল্ল করছেন সাধারন মানুষকে পুলিশি ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে জোড়পূর্বক বাড়িঘড় দখলের অভিযোগ আছে৷ সম্প্রতি শাহাপুর গ্রামের আরিফ আহমেদ চিকুর ক্রয়কৃত ১,৩৭ শতাংশ জমিতে পড়েছে এদের কুনজর জোড়পূর্বক দখল নিতে কৌশল অবলম্বন করে গোপনে ইট বালি সিমেন্ট ও মিস্ত্রির যোগান দিয়ে মালার মাধ্যমে আরিফ আহমেদের জমি বেদখলের চেষ্টা করছেন৷ আরিফ কাজে বাঁধা দিলে পুলিশি ভয় দেখিয়ে একলক্ষ বিশ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করেন৷  পরে ভিবিন্ন কৌশলে আরিফকে চাপ প্রয়োগ করে চাঁদার টাকাটা বুঝে নেন মালা জনসম্মুখে৷ 

মালা আরিফ কে জমি বুঝিয়ে দিয়ে অনন্ত্র সড়ে যান,তখন আরিফ তার জমিতে বাউন্ডারি কাজ শুরু করলে শুরু হয় আরেক বিপত্তি কাজে বাধা দেয় বন্যার ভাই ফাহিম ও তার মা ফেন্সি বেগম দাবী করেন এই জমি বন্যার এখানে কাজ করা যাবেনা যে পর্যন্ত বন্যা জামালপুর না আসবে৷ এদিকে ফাহিম সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে বাউন্ডারী দেয়ালটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়৷ 

ফেন্সি বেগম বন্যাকে ফোনে রেখে বারবার বলতে থাকে পুলিশ পাঠাও পুলিশ পাঠাও এগুলা শুনে মিস্তিরা ভয়ে চলে যায়৷ কয়েকদিন পর আবার কাজ শুরু করলে কাজের ঠিক একদিন পরে বন্যা নিজে এসে এটা তার জমি দাবী করে আবার  দেয়ালগুলা ঘুড়িয়ে দেয়৷ 

এমতাবস্থায় এই ভূমিদস্যু নারী একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আরিফ আহমেদ সহ কয়েজনকে আসামী করে মামলা রুজু করে জামালপুর সদর থানায়৷ 

সদর থানা সেই মামলাটির সুষ্ঠ তদন্ত না করেই রুজু করে দেন৷ আর এতেই সাধারন ব্যবসায়ী আরিফসহ অনেকেই অপরাধ না করেও অপরাধী হয়ে যান৷ আরিফ মাহমুদ বলেছেন যদি বন্যা ও তার মা ফেন্সি বেগম এই জমির কোন কাগজ উপস্থাপন করতে পারে তাহলে আমি তাদের জমি দিয়ে দিবো৷ এই জমি নিয়ে অনেকবার বসা হয়ছে কিন্তু তারা কোন কাগজ দেখাতে পারে নাই৷ উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার জমি বেদখলের পায়তারা করছে তারা৷

জামালপুরে এখনো প্রকাশ্যে অদৃশ্য শক্তির কারণে, সাবেক এমপির সহকারি ও ভূমি খেঁকো মিজান

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

জামালপুরে এখনো প্রকাশ্যে অদৃশ্য শক্তির কারণে,  সাবেক এমপির সহকারি ও ভূমি খেঁকো মিজান

জামালপুর প্রতিনিধিঃ

জামালপুরে সাবেক সাংসদের একান্ত সহকারী গেটপার দীপ্ত মোবাইল সার্ভিসের কর্ণধার  মিজান, প্রকাশ্যে থাকলেও অলৌকিক শক্তির কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত ৫ আগষ্টের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের  অনেক  নেতাকর্মীরা যখন  মামলা হামলার ভয়ে, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘর বাড়ি ফেলে অন্য গন্তব্যে চলে গেছে।  ঠিক সেই সময়, অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে এখনো প্রতিদিন দোকান করে যাচ্ছে, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের ব্যক্তিগত সহকারী ও সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর বন্ধু  মিজান। যানা যায়- সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপনজন খ্যাত সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের ক্ষমতার দাপটে কালোকে সাদা করাই ছিল তার কাজ। ফিল্মি স্টাইলে অসহায় মানুষের জমি দখলসহ এমপির অনৈতিক সকল কাজের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। আরো যানা যায়- দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গ্রাম থেকে সাধারণ জনগণ তার  দীপ্ত মোবাইল সার্ভিসের কর্ণধার মোবাইল ঠিক করতে আসলে, ঠিক হওয়ার পর দ্বিগুণ মুনাফা নিতো। সেই সাথে প্রভাব খাঁটিয়ে চুরাই মোবাইলের কিনা বেচা তথ্য পাওয়া যায়। যানা যায়- অদৃশ্য শক্তি আশ্রয়ে এখন তিনি আরো পাওয়ারফুল। ক্ষমতা খাঁটিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী অনেকে পালিয়ে গেলেও। তিনি দাম্ভিকতার সাথে জামালপুর শহর চুষে বেড়াচ্ছে, আবারো নতুন কায়দায়, নিজেকে উপস্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি সূত্র হতে জানা যায়, তার অবৈধ জমিদখললসহ ব্যবসা চালু রাখতে মিউচুয়াল টেকনিক অবলম্বন করে, আবারো আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল ধরাছোঁয়ার বাইরে তার অবস্থান। সাবেক এই এমপি সহকারী, এখনো কিভাবে জামালপুর শহরের জিগাতলা মহিলা কলেজের সামনের মতো স্থানে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। মূলত জনসাধারণের প্রশ্ন যেখানে সাবেক সরকার  প্রধানসহ সকল শীর্ষ ও স্থানীয় নেতারা এলাকা ছেড়েছে। সেখানে সাবেক পার্সেন্ট এমপির এ বুদ্ধি দাতা এখনো প্রকাশ্যে থাকে, কোন শক্তির বলে। তার খুঁটির জোর জানতে চেয়েছে অনেকে।

Thursday, 10 July 2025

প্রতিটি শিশুই সমান সুযোগ সুবিধার অধিকারী- ডিসি

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

প্রতিটি শিশুই সমান সুযোগ সুবিধার অধিকারী- ডিসি

স্টাফ রিপোর্টার লিজাঃ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৬৬ নং শাসনগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল সু, ক্রীড়া সামগ্রী, চকলেট ও গাছের চারা বিতরণের মাধ্যমে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। একইসাথে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চকলেট ও গাছের চারা বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী।

বিসিক শিল্পনগরী সংলগ্ন শাসনগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন গার্মেন্টস শিল্প কারখানার শ্রমিকদের সন্তান। সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের কারোই স্কুল সু না থাকার বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা তাৎক্ষণিকভাবে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুল সু কেনার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। তারই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন এই মানবিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “মানবিক মানুষ হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হলে তাদের পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন এখনকার শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাই আমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং মানুষের মত মানুষ গড়ে তুলতে সবাই একসাথে কাজ করে যাব। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে দক্ষ ও মেধাবী নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।”

অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক স্কুল প্রাঙ্গণে একটি সফেদা গাছের চারা রোপণ করেন। জেলা প্রশাসকের এই মানবিক কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে স্কুল সু, ক্রীড়া সামগ্রী, চকলেট ও গাছের চারা বিতরণের সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়। সকলেই জেলা প্রশাসকের এমন উদ্যোগকে উষ্ণ সাধুবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার, সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবযানী কর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহানারা বেগম , আরো উপস্থিত ছিলেন এনায়েত নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো: নাহীম মিয়া, ফতুল্লা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির,কুতুবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: মোতালেব , সহ স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ

Thursday, 3 July 2025

আওয়ামী লীগের ধূসর ফ্যাসিবাদী ৩ ইউপি চেয়ারম্যান এখনো রয়েছে বহাল

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM  

আওয়ামী লীগের ধূসর ফ্যাসিবাদী ৩ ইউপি চেয়ারম্যান এখনো রয়েছে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩ আওয়ামী লীগের ধূসর ইউপি চেয়ারম্যানের। এখনো রীতিমতো অফিস করে যাচ্ছেন ৩ ইউপি চেয়ারম্যান।

স্বৈরাচারী পলাতক শেখ হাসিনা সরকার থাকাকালীন সময় জামালপুরের মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ্ব মির্জা আজমের ছত্রছায়ায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার এর মধ্য দিয়ে অনিয়মকে নিয়মের আয়তায় পরিণত করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩ ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি করেছেন জামালপুর শহরে বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি। ৩ ইউপি চেয়ারম্যানী হলেন সাবেক এমপি আওয়ামী লীগের ধূসর আলহাজ্ব মির্জা আজমের আত্মীয়-স্বজন যার বিনিময়ে এখনো ছাড়েননি ইউনিয়ন পরিষদ।

যে ৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান এখনো বহাল রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। 

মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪নং বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম ও ৫নং জোরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সুজা মিঞা এবং ৬নং আদারভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এই ৩ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ৩ ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও নানা প্রকল্পে চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে এই ৩ ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি নানা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু একাধিক তদন্ত দীর্ঘ দিনেও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে ভুক্তভোগীরা হতাশ। 

জানা যায়, ৪ নং বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম ও ৫নং জোরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজা মিঞা এবং ৬নং আদারভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এই ৩ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তাদের আমলে টিআর, কাবিখা, জিআর, কাবিটা, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব খোযাড়-খেয়া ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি, হাটবাজার, ১% খাতের নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। তারা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজেদের ইচ্ছামতো খরচ করেন। অপরদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডপ্রতি সরকারি খরচ ১৫ টাকা থাকা সত্ত্বে কয়েক হাজার হাজার কার্ডে এন্ট্রি বাবদ কয়েক শত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই ইউপি ৩ চেয়ারম্যান। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ অর্থ লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই ৩ ইউপি চেয়ারম্যান তাদের নিজ এলাকার বাজারে অফিস খুলে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং ভুয়া রেজুলেশন করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানদের ও ইউনিয়নবাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এমনকি একাধিকবার লাঞ্ছিত, অবরুদ্ধ ঘটনাও বাদ পড়েনি। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সরকারি অনুদানের টাকা ও বিভিন্ন গ্রামে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ঘুস গ্রহণসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ৩ ইউপি চেয়ারম্যন তাদের নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে ভিজিডি তালিকায় নাম উঠানোর কথা বলে অসহায় দুস্থদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুস গ্রহণ করছেন। বাদ পরেনি বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতাও। 

এ ব্যাপারে এই ৩ ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেন এমন কোন কাজ করেনি তারা। কোন ইউনিয়নবাসী যদি আমাদের বিরুদ্ধে এমন কিছু অভিযোগ করে থাকে সেই অভিযোগ মিথ্যা।