Thursday, 4 December 2025

জামালপুরে ইয়াবার বড় সিন্ডিকেটে পর থেকে বেড়িয়ে আসছে মুসলিমাবাদের ইয়াবার রাজত্ব

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM

জামালপুরে ইয়াবার বড় সিন্ডিকেটে পর থেকে বেড়িয়ে আসছে মুসলিমাবাদের ইয়াবার রাজত্ব

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সম্প্রতী জামালপুর শহর থেকে সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর তারপর থেকেই বেড়িয়ে আসছে এই চালানের মূল হোতাদের নাম। আটক দম্পত্তি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়- এই চালানের সাথে সরাসরি জড়িত মুসলিমাবাদের মনোয়ারা, সালমা ও কাজল তারা এখনো প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে শহরের দড়িপাড়া এলাকায় একটি আনন্দ ভ্রমনের বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২২ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক দম্পত্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার বাজার মূল্য ৬৬ লাখ টাকা বলে জানিয়েছিলো পুলিশ। সেই সময় বিসমিল্লাহ ট্রাভেলস নামে সেই বাসটি জব্দ করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- 

জামালপুর সদর উপজেলার ডিগ্রীরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম। তবে তারা শহরের মুসলিমাবাদ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করতেন। 

মঙ্গলবার এই দম্পত্তির পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হলে আবারো রিমান্ড আবেদন করে জামালপুর থানা পুলিশ। 

তবে এই দুইজনকে গ্রেপ্তার ও ইয়াবার এতো বড় চালান উদ্ধারের পর থেকে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাড়ায় পুরো শহরজুড়ে। বেড়িয়ে আসতে শুরু করে অনেক তথ্য। 

মঙ্গলবার দুপুরে রিমান্ড ও এমসি পরীক্ষা শেষে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পুলিশের গাড়িতে উঠার সময় গ্রেপ্তার শাহিদা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে দেন একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 

শাহিদা বেগম জানান- এই ইয়াবার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত মনোয়ারা, সালমা ও কাজল।   

এরপর কয়েকজন সাংবাদিক তার সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে- তারা শুধু এই চালানটি কক্সবাজার থেকে জামালপুর এনেছেন। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে মুসলিমাবাদ এলাকার আরো অনেকে জড়িত আছেন। এরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষদের মাঝে ইয়াবা বিক্রি করে থাকেন।

২৪ অক্টোবর ইয়াবা উদ্ধারের পর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে পাঁচটি বৈঠক করে মুসলিমাবাদের ৪ গ্রাম সমন্বয় কমিটি এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন তারা। এই ঘটনায় যেকোনো সময় সংঘাতে জড়াতে পারেন গ্রামবাসী। এমনটাই আশঙ্কা করছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

এই বিষয়ে তাদের সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করলে বলেন আমাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যারা অভিযোগ করছে তারাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। আমি একসময় মুসলিমাবাদ এলাকার কমিটিতে ছিলাম। তখন মাদক ব্যবসায়ীদের শাসন করেছি। এখন তারাই আমাদের ক্ষতি করা চেষ্টা করছে। এসব পুরোটা সাজানো। তারা আমাকে ফাসিয়ে মূল হোতাদের বাচানোর চেষ্টা করছে।’

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন-‘আমরা রিমান্ডে কিছু তথ্য পেয়েছি। এসব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আর তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য এখন গনমাধ্যমে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

সাংবাদিক আরজুসহ ৮ জনের নামে ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার দাবি মানববন্ধন

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM

সাংবাদিক আরজুসহ ৮ জনের নামে ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার দাবি মানববন্ধন

জামালপুর প্রতিনিধিঃ

দৈনিক জামালপুর দিনকাল পত্রিকার প্রকাশক মো. আরজু আকন্দসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে 'স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর' জাহিদুল হক সেলিম ও তার সশস্ত্র ক্যাডার রাশেদুল হাসান নওশাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা'র সভাপতিত্বে ও দৈনিক জামালপুর দিনকাল পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ উদ্দিন, সদস্য আরিফ আকন্দ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম, দৈনিক জামালপুর দিনকাল পত্রিকার সম্পাদক সাইদ পারভেজ তুহিন, সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইকবাল আকন্দ, বাংলাদেশ কংগ্রেস জেলা শাখার আহবায়ক আবু সায়েম মোহাম্মদ সা'-আদাত, দৈনিক জামালপুর দিনকাল পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির যুগ্ম-মহাসচিব, জামালপুর জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি, দৈনিক জামালপুর দিনকাল ও সাপ্তাহিক উর্মিবাংলা পত্রিকার প্রকাশক জামালপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জামালপুর সিটি প্রেস ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, দেওয়ানপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও এপেক্সিয়ান আলহাজ্ব মো. আরজু আকন্দ একজন সজ্জন মানুষ। তাঁকেসহ ৮জন সাংবাদিক ও দলিল লেখকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই সাজানো হয়েছে মিথ্যা মামলা।   শহরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ঘটনাটি। 

বক্তারা ঘটনাটি তদন্ত করে এই মিথ্যা মামলার কারিগর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর জাহিদুল হক সেলিম ও তাঁর সশস্ত্র ক্যাডার রাশেদুল হাসান নওশাদকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা।

Wednesday, 3 December 2025

ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে রাস্তা সংস্কারের নামে অর্থ আত্মসাৎ

 শুধু দেশ  জনগণের পক্ষে  JNEWS24TV.COM 

ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে রাস্তা সংস্কারের নামে অর্থ আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তা সংস্কারের নামে কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হলেও বাস্তবে কাজ না করেই অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের কাবিখা ও কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ১২ লাখ ৬৪ হাজার টাকার বেশি অর্থ এবং ৯.০৩১ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহের মধ্যে ছিল—

১নং ওয়ার্ডের জোকা উত্তরপাড়া পণ্ডিতের বাড়ি থেকে নিয়ামতের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (বরাদ্দ ১,১৪,০০০ টাকা)

২নং ওয়ার্ডের রাজাপুর মনকান্দা সোহেলের বাড়ি থেকে মুখলেছ ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (বরাদ্দ ১,১৪,০০০ টাকা)

৩নং ওয়ার্ডের গোপালপুর ছতুর বাড়ি থেকে রুবেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (বরাদ্দ ১,১৪,০০০ টাকা)

৪নং ওয়ার্ডের হরিপুর টাওয়ার মোড় থেকে সাবান ঘাট ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (বরাদ্দ ১,১৪,০০০ টাকা)

৫নং ওয়ার্ডের বড়বিলা মোড় থেকে ক্রীমোহনী হাফেজিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (বরাদ্দ ১,১৪,০০০ টাকা)

৮নং ওয়ার্ডের হরিণাকান্দা নতুন মসজিদ থেকে ঠাডাকুরী নদী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (বরাদ্দ ১,১৪,০০০ টাকা)

চড়িমাগুরা জথিষ্টী কেরানার বাড়ি পূজামণ্ডপ থেকে পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (বরাদ্দ ১,১৪,০০০ টাকা)

এছাড়াও বিশেষ বরাদ্দে আরও কয়েকটি রাস্তা সংস্কারের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।

কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব প্রকল্পের কাজ বাস্তবে করা হয়নি। রাস্তা সংস্কার না করেই বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা।

এলাকাবাসীর ক্ষোভ

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলো এখনও পূর্বের মতোই অযত্নে পড়ে আছে। কাজের কোন চিহ্ন নেই। অথচ কাগজপত্রে দেখানো হচ্ছে প্রকল্প শেষ হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির বিচার দাবি করছে।

এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “রাস্তা সংস্কারের নামে কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও কোনো কাজ হয়নি। এভাবে ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রমে দুর্নীতি চলতে থাকলে গ্রামীণ জনগণ বঞ্চিত হবে।”